বরগুনায় ১৩ ‘জলদস্যুর’ আত্মসমর্পণ

বরগুনায় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মো. আসাদুজ্জামান খাঁন কামালের উপস্থিতিতে ১৩ জলদস্যু স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসার অঙ্গীকার করে আত্মসমর্পণ করেছেন।

বরগুনা প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 20 Oct 2016, 10:02 AM
Updated : 20 Oct 2016, 10:02 AM

বৃহস্পতিবার বেলা পৌনে ১২টায় জেলা সার্কিট হাউজ মাঠে এক অনুষ্ঠানে র‌্যাব ও প্রশাসনের কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে অস্ত্রশস্ত্র জমা দিয়ে তারা আত্মসমর্পণ করেন বলে র‌্যাব-৮-এর পরিচালক ইফতেখারুল মাবুদ জানান।

আত্মসমর্পণকারীরা হলেন সাগর বাহিনীর প্রধান আলমগীর শেখ ওরফে সাগর (৩৫), বাহিনীর সেকেন্ড ইন কমান্ড কামরুল ফকির (২৭), আবদুল মালেক (৩৮), কাদের শেখ (৩৮), হাফিজুর রহমান শেখ (৪৬), কবীর শেখ (৩৪), দেলোয়ার শেখ (৩৮), হাসান সরদার (২২), নান্না ফকির (২৯), তৌহিদুল ইসলাম (৪৩), রাজু শেখ (২৮), লিটন হাওলাদার (৩৪) ও তরিকুল গাজী (৩২)।

তাদের সবার বাড়ি বাগেরহাটের বিভিন্ন এলাকায়।

অনুষ্ঠানে জমা দেওয়া অস্ত্রশস্ত্র সম্পর্কে ‌র‌্যাব-৮-এর পরিচালক বলেন, দস্যুরা মোট আটটি বিদেশি একনালা বন্দুক, তিনটি দেশি একনালা বন্দুক, একটি বিদেশি দোনালা বন্দুক, দুটি পয়েন্ট২২বোর বিদেশি এয়ার রাইফেল, চারটি এলজি, দুটি বিদেশি কাটা রাইফেল ও ৫৯৬ রাউন্ড গুলি জমা দিয়েছেন।

অনুষ্ঠানে মন্ত্রী বলেন, “সুন্দরবন দেশের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ এলাকা ও ইকোনমিক জোন। এলাকাটিকে বিপদ থেকে মুক্ত রাখতে সরকার দৃঢ়প্রতিজ্ঞ।

“এ এলাকায় র‌্যাব, পুলিশ ও কোস্টগার্ডের ক্ষমতা বৃদ্ধি করা হয়েছে। বনদস্যু, জলদস্যু, কিংবা জঙ্গি - কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না।”

র‌্যাবের মহাপরিচালক বেনজির আহম্মেদ বলেন, “আর দু-একটি বাহিনী রয়েছে। তারা আত্মসমর্পণ না করলে নির্মূল করা হবে। এরপর ধরা হবে গডফাদারদের। তাদের মুখোশ জনগণের সামনে তুলে ধরা হবে।”

অনুষ্ঠানে দস্যুদের গুলিতে পা হারানো জেলে নান্টু মিয়া, বরিশালের ডিআইজি মো. আকরাম হোসেন, কোস্টগার্ড দক্ষিণ জোনের কমান্ডার ক্যাপ্টেন একরাম হোসেন, ‌বরগুনার জেলা প্রশাসক মহাম্মদ বশিরুল আলম, জেলা পরিষদ প্রশাসক মো. জাহাঙ্গীর কবিরসহ বিভিন্ন পর্যায়ের সরকারি কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।