বুধবার দুপুরে আসামির উপস্থিতিতে রংপুরের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আবুজাফর মোহাম্মদ কামরুজ্জামান রায় ঘোষণা করেন।
দণ্ডপ্রাপ্ত রাহেলা খাতুন (৩০) জেলার গঙ্গাচড়া উপজেলার মহিপুর পূর্বপাড়া এলাকার লাবলু মিয়ার স্ত্রী।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী অতিরিক্ত পিপি ফারুক মোহাম্মদ রেয়াজুল করিম মামলার বরাত দিয়ে বলেন, স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে কলহের জেরে রাহেলা তার এক বছর বয়সী মেয়ে লাকিকে নিয়ে ২০০৪ সালের ১২ সেপ্টেম্বর বিকেলে গঙ্গাচড়া উপজেলার গজঘণ্টা ইউনিয়নের জয়দেব সরকারপাড়া এলাকায় বাবার বাড়িতে চলে যান।
“ওই রাতেই লাকিকে শ্বাসরোধে হত্যার পর লাশ বস্তায় ভরে বাড়ির পাশের পুকুরে ফেলে দেন রাহেলা। প্রায় তিন সপ্তা লাকির সন্ধান না পাওয়ায় তার বাবা লাবলু মিয়া ওই বছর ১ অক্টোবর রাহেলাকে আসামি করে গঙ্গাচড়া থানায় হত্যা মামলা করেন।”
গ্রেপ্তার হওয়ার পর রাহেলা আদালতে অপরাধ স্বীকার করে জবানবন্দি দেন বলে জানান আইনজীবী ফারুক।
তিনি বলেন, পুলিশ ২ অক্টোবর রাহেলার বাবার বাড়ির পাশের পুকুর থেকে লাকির লাশ উদ্ধার করে। ১৯ অক্টোবর গঙ্গাচড়া থানার তৎকালীন এসআই রেজাউল ইসলাম রাহেলার বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দেন।
“দীর্ঘ শুনানি ও পর্যালোচনা শেষে বিচারক আবুজাফর মোহাম্মদ কামরুজ্জামান আসামির উপস্থিতে মৃত্যুদণ্ডাদেশ ঘোষণা করেন।”