শনিবার দুপুরে এজেন্ট, কেন্দ্রে আসা ভোটার ও সমর্থকদের হুমকীসহ ভয়-ভীতি প্রদর্শনের অভিযোগে আদমপুর ইউনিয়নে বিএনপি প্রার্থী মো. সেলিম মিয়া ও মজিদপুর ইউনিয়নের আওয়ামী লীগ প্রার্থী শাকিলা পারভীন নির্বাচন বর্জনের এ ঘোষণা দেন।
দুপুরে সেলিম মিয়া নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দিয়ে বলেন, সকাল থেকেই ভয়-ভীতি প্রদর্শনের মাধ্যমে তার এজেন্টদেরকে কেন্দ্র থেকে বের করে দেওয়া হয়েছে। এছাড়া হুমকি প্রদর্শনের মাধ্যমে তার সমর্থক ভোটারদেরকেও কেন্দ্রে যেতে বাধা দেওয়া হচ্ছে।
“এ অবস্থায় সুষ্ঠু নির্বাচন আশা করা অবান্তর, তাই নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছি।”
বিষয়টি রিটার্নিং কর্মকর্তাকেও জানিয়েছেন বলে জানান তিনি।
রিটার্নিং কর্মকর্তা এনামুল হক খান বলেন, “মো. সেলিম মিয়া মোবাইল ফোনে ভয়-ভীতি প্রদর্শনের অভিযোগে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর বিষয়টি জানিয়েছেন। তবে উনার অভিযোগ সত্য নয়, সুষ্ঠুভাবেই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে।”
এদিকে বিকাল পৌনে ৩টায় উপজেলার শিবপুর বাস স্টেশন সংলগ্ন আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দেন শাকিলা।
ঘোষনার পরপর হোমনা-গৌরীপুর সড়কে বিক্ষোভ মিছিল শুরু করে দলের নেতা-কর্মীরা।
শাকিলা পারভীন বলেন, “ইউনিয়নের প্রতিটি কেন্দ্রে বিএনপি-জামায়াতের সন্ত্রাসী বাহিনীর যোগ সাজশে জাতীয় পার্টির প্রার্থী ফারুক হোসেন সরকারের তার এজেন্টদের উপর হামলা চালিয়ে কেন্দ্র থেকে বের করে ভোট ডাকাতি করে।”
এছাড়া তিনি শিবপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে গেলে তাকে লাঞ্ছিত করা হয় বলেও অভিযোগ করেন তিনি।