শনিবার বেলা সাড়ে ১২টার দিকে গাজীপুরের কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগারে জামায়াতের এ নেতার সঙ্গে তার স্ত্রী ও পরিবারের লোকজন দেখা করেন বলে জানান কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার-২-এর জেলার মো. নাশির আহমেদ।
তিনি বলেন, কাসেম আলীর স্ত্রী খন্দকার আয়শা খাতুন,ছেলে মীর আহমেদ বিন কাসেম, মেয়ে তাহেরা তাসমিন ও সুমাইয়া রাবেয়া এবং পুত্রবধূ সায়েদা তাহমিদা তার সঙ্গে দেখা করেন। কারাগারের একটি কক্ষে তারা প্রায় আধা ঘণ্টা জামায়াতের এ নেতার সঙ্গে কথা বলেন।
গত ৮ মার্চ সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ ফাঁসির রায় বহাল রাখার দুই দফায় তার আইনজীবী ও পরিবারের সদস্যরা দেখা করেন।
তবে মৃত্যুদণ্ডের রায়ের চূড়ান্ত (প্রিন্টেড) কপি এখনও কারাগারে আসেনি বলে ওই কর্মকর্তা জানান।
মীর কাসেম এ কারাগারের ফাঁসির সেলে বন্দি রয়েছেন। গ্রেপ্তারের পর ২০১২ সাল থেকে তিনি এ কারাগারে রয়েছেন। ২০১৪ সালের আগে তিনি ডিভিশনপ্রাপ্ত বন্দির মর্যাদায় ছিলেন।
২০১৪ সালের ২ নভেম্বর আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-২ মুক্তিযুদ্ধের সময় মানবতাবিরোধী অপরাধে মীর কাসেমকে মৃত্যুদণ্ড দেয়।
একই বছরের ৩০ নভেম্বর ট্রাইব্যুনালের মৃত্যুদণ্ডের রায়ের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে আপিল করেন এই আলবদর কমান্ডার।
এ বছরের ৮ মার্চ দেওয়া রায়ে আপিল বিভাগও তার মৃত্যুদণ্ড বহাল রাখে।