সুন্দরবনে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসেনি, তদন্তে কমিটি

সুন্দরবন পূর্ব বিভাগের চাঁদপাই রেঞ্জের ধানসাগর স্টেশনের নাংলি ফরেস্ট ক্যাম্প এলাকার আগুন নিয়ন্ত্রণে আসেনি।

বাগেরহাট প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 13 April 2016, 12:35 PM
Updated : 13 April 2016, 12:38 PM

বুধবার সকাল ১০টার দিকে আব্দুল্লাহর ছিলা এলাকায় আগুন ধরে। পরে পঁচাকোড়ালিয়া ও নাপিতখালীর অন্তত দশ একর এলাকায় ছড়িয়ে পড়ে।

সুন্দরবন পূর্ব বিভাগীয় কর্মকর্তা (ডিএফও) মো. সাইদুল ইসলাম বলেন, তাৎক্ষাণকভাবে স্থানীয়দের সঙ্গে নিয়ে বনবিভাগ আগুন নেভানোর কাজ শুরু করে।

“পরে ফায়ার সার্ভিসের তিনটি ইউনিট আগুন নেভানোর কাজে যোগ দেয়।”

এদিকে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা তদন্তে তিনি তিন সদস্যের কমিটি গঠনের ঘোষণা দিয়েছেন।

একই এলাকায় গত ২৭ মার্চও অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছিল।

ঘটনাস্থলে যাওয়ার পর সাইদুল ইসলাম বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, আগুন লাগার ঘটনা তদন্তে সুন্দরবন পূর্ব বিভাগের চাঁদপাই রেঞ্জের সহকারী বন সংরক্ষক (এসিএফ) বেলায়েত হোসেনকে প্রধান করে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।

কমিটিকে আগামী ১৪ কর্মদিবসের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন দিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

কমিটির অন্য দুই সদস্যের নাম তিনি তাৎক্ষণিকভাবে ঘোষণা করেননি।

সাইদুল ইসলাম বলেন, আগুন যেভাবে জ্বলছে তাতে ফায়ার সার্ভিসের তিনটি ইউনিট দিয়ে পুরোপুরি নেভানো অসম্ভব। তাই খুলনা ফায়ার সার্ভিসকে আসতে অনুরোধ করা হয়েছে।

“অগ্নিকাণ্ডের এলাকা ঘিরে ফয়ার লাইন (দীর্ঘ অগভীর গর্ত) কেটে দেওয়া হয়েছে। তাই আগুন আর নতুন এলাকায় বিস্তৃতি লাভ করতে পারবে না।”

তিনি আরও বলেন, যে এলাকায় আগুন লেগেছে সেখানে অল্প কিছু সুন্দরী গাছ রয়েছে। প্রাথমিকভাবে যা দেখা যাচ্ছে এখানে লতাগুল্ম প্রজাতির গাছই বেশি রয়েছে।

এর আগে গত ২৭ মার্চ একই এলাকায় আগুন ধরেছিল।

ওই সময় বনকর্মকর্তারা বলেছিলেন, সুন্দবনের যে এলাকায় আগুন লেগেছে সেখানে বনের তেমন কোনো মূল্যবান গাছপালা নেই। প্রাথমিকভাবে দেখা যাচ্ছে এখানে লতাগুল্ম প্রজাতির কিছু গাছ রয়েছে, যেগুলো ‘বলা গাছ’ নামে পরিচিত।

ওইদিন বেশকিছু বলা গাছ পুড়ে গেছে বলেও তারা জানান।

২৭ মার্চের অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা তদন্তের পর ৩ এপ্রিল প্রতিবেদন দেওয়া হয়। তাতে অগ্নিকাণ্ডের জন্য অসতর্কতাকে দায়ী করা হয়। প্রতিবেদনে কয়েকটি সুপারিশও করা হয়।