এবার পুলিশের বিরুদ্ধে সাভারে চা বিক্রেতাকে মারধরের অভিযোগ

পুলিশের নির্যাতনের বেশ কয়েকটি ঘটনা নিয়ে দেশজুড়ে সমালোচনার মধ্যে এবার ‘ধারের টাকা পরিশোধ করতে দেরি হওয়ায়’ সাভারে চা বিক্রেতাকে মারধরের অভিযোগ পাওয়া গেছে এক ‘পুলিশ কনস্টেবলের’ বিরুদ্ধে।

সাভার প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 10 Feb 2016, 09:34 AM
Updated : 10 Feb 2016, 02:32 PM

বুধবার সকালে সাভার পৌর এলাকার গেন্ডা ছাপড়া মসজিদের পাশে চা দোকানে এ ঘটনা ঘটে বলে জানান চা বিক্রেতা বেলাল হোসেন। বেলাল হোসেন স্থানীয়ভাবে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন।

তার বাড়ি দিনাজপুরের বোচাগঞ্জ উপজেলার মুনিপুর গ্রামে। তিনি ও তার স্ত্রী গেন্ডা এলাকায় একটি ভাড়া বাড়িতে থেকে চা-পানের দোকান করেন।

গত সপ্তাহে ঢাকার মিরপুরে চুলায় ‘পুলিশের লাঠির বাড়ি’ থেকে ছিটকেপড়া তেলে পুড়ে এক চা দোকানির মৃত্যু হয়েছে। ‘চাঁদা না পেয়ে’ পুলিশ সদস্যরা তার ওপর চড়াও হয় বলে অভিযোগ।

এর কয়েকদিন আগে মোহাম্মদপুরে এক বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রীকে রাস্তায় আটকে হেনস্থার অভিযোগে আদাবর থানার এক এসআইকে বরখাস্ত করা হয়। আগের মাসে মোহাম্মদপুর ও যাত্রাবাড়ীতে দুই সরকারি কর্মকর্তাকে নির্যাতন চালিয়ে ব্যাপক সমালোচনা মুখে পড়ে পুলিশ।এর মধ্যেই সাভারে আবারও অভিযোগ উঠল পুলিশের বিরুদ্ধে।

বেলাল হোসেন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, কনস্টেবল মিজানুর রহমান সাভারের গেন্ডায় ভাড়া বাসায় থাকেন।

তিনি রাজধানীর রাজারবাগ পুলিশ লাইনে থাকলেও এখন কোথায় কর্মরত তা জানাতে পারেননি বেলাল।   

চা দোকানি বেলাল বলেন, কয়েক মাস আগে মিজানুর রহমানের কাছ থেকে ব্যবসার জন্য সুদে সাত হাজার টাকা নিয়েছিলেন তিনি।

“বুধবার সকালে আমাকে সুদের টাকা দিতে বলেন মিজান। টাকা যোগাড় না হওয়ার কথা জানালে তিনি ক্ষিপ্ত হয়ে তাৎক্ষণিক টাকা দাবি করেন এবং হুমকিধমকি দেন। এক পর্যায়ে আমাকে মারধর শুরু করেন। পরে স্থানীয়রা এগিয়ে এলে আমাকে ছেড়ে দিয়ে তিনি চলে যান।”

মিজানুর রহমানকে বাসা বা আশপাশে পাওয়া যায়নি।

এ বিষয়ে ঢাকা জেলার সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) রাসেল শেখ বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “চা বিক্রেতাকে মারধরের ঘটনায় আমাদের কাছে কেউ অভিযোগ করেনি। অভিযোগ পেলে ওই পুলিশ সদস্যর বিরুদ্ধে অবশ্যই ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”