বুধবার সিলেট দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. মকবুল আহসান এ আদেশ দেন।
জেলা পাবলিক প্রসিকিউটর কিশোর কুমার কর জানান, বুধবার এই মামলায় দুইজনের সাক্ষ্য দেওয়ার কথা ছিল।
“মামলায় গ্রেপ্তার ১৪ আসামির মধ্যে হবিগঞ্জের বরখাস্ত মেয়র জিকে গউছসহ পাঁচজনকে আদালতে হাজির করা হয়।
“অসুস্থতা ও অন্য মামলার তারিখ থাকায় বাকিদের আদালতে হাজির না করায় বিচারক বৃহস্পতিবার দিন ঠিক করে দেন।”
একই কারণে এ নিয়ে সপ্তমবারের মতো পেছালো এ মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ।
গত ৩০ সেপ্টেম্বর মামলার বাদী হবিগঞ্জ-২ আসনের সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মজিদ খানের জবানবন্দি দেওয়ার মধ্য দিয়ে সাক্ষ্যগ্রহণ শুরুর পর এ পর্যন্ত আটজন সাক্ষ্য দিয়েছেন।
২০০৫ সালের ২৭ জানুয়ারি হবিগঞ্জে এক জনসভায় গ্রেনেড হামলায় শাহ এএমএস কিবরিয়াসহ পাঁচজন নিহত হন। আবদুল মজিদ খান ওই রাতেই হত্যা ও বিস্ফোরক আইনে দুটি মামলা করেন।
তিন দফা তদন্তের পর সিআইডির সিলেট অঞ্চলের সহকারী পুলিশ সুপার মেহেরুন নেছা পারুল ২০১৪ সালের ২১ ডিসেম্বর আরিফুল, গউছ এবং সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার রাজনৈতিক সচিব হারিছ চৌধুরীসহ ১১ জনের নাম যোগ করে মোট ৩২ জনের বিরুদ্ধে সম্পূরক অভিযোগপত্র দেন।
গত ১১ জুন হবিগঞ্জের জেলা ও দায়রা জজ মো. আতাবুল্লাহ মামলাটি বিচারের জন্য সিলেট দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে স্থানান্তর করেন।