শুক্রবার মন্ত্রীর এলাকা কুমিল্লা-১১ (নাঙ্গলকোট-সদর দক্ষিণ) এর ৩ হাজার ১৮৩ জন গ্রামীণ গ্রাহকের ঘরে বিদ্যুৎ সংযোগ কর্মসূচি উদ্বোধন করা হয়।
মন্ত্রীর উপস্থিতিতে জোড্ডা ইউনিয়ন বিএনপির নেতা শরিফুল ইসলাম তা উদ্বোধন করেন বলে শনিবার মন্ত্রীর তথ্য কর্মকর্তা তাপন চন্দ্র বোস স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।
বিদ্যুৎ সংযোগ উদ্বোধনের ঠিক আগ মুহূর্তে মন্ত্রী বলেন, অনুষ্ঠানে বিএনপির কোনো নেতা আছেন কি না?
তখন শরিফুল ইসলাম নিজেকে বিএনপি নেতা বলে পরিচয় দেন। তখন তাকে মঞ্চে ডেকে নিয়ে তাকে দিয়ে বিদ্যুৎ সংযোগ উদ্বোধন করান মন্ত্রী।
রাজনৈতিক সম্প্রীতি প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে একাজ করেছেন বলে মুস্তফা কামাল জানান।
তিনি বলেন, “রাজনীতিতে জ্বালাও-পোড়াও নীতির কোনো গ্রহণযোগ্যতা নেই। রাজনীতি আর খাই খাই এক সঙ্গে চলতে পারে না।”
বাংলাদেশের নিম্ন-মধ্য আয়ের দেশে উন্নীত হওয়ার উচ্ছ্বাস প্রকাশ করে মন্ত্রী বলেন, “আমরা নির্ধারিত সময়ের আগেই মধ্যম আয়ের দেশে রূপান্তর হয়েছি। এর সুফল পেতে হলে রাজনৈতিক পরিবর্তন দরকার।
“আগে যেভাবে হানাহানি ও মারামারি হয়েছে, এটা থেকে সবাইকে দূরে থাকতে হবে। আমাদের সবাইকে পরিকল্পিত রাজনীতি করতে হবে; যাতে দেশে আর হানাহানির রাজনীতি ফিরে না আসে।”
আড্ডা, বক্সগঞ্জ, মোকরা, দৌলখাঁড় ও পেরিয়া ইউনিয়নের ২০ গ্রামে এই বিদ্যুৎ সংযোগ দেওয়া হয়। কুমিল্লা শহর থেকে ৪০ কিলোমিটার দূরের এই ইউনিয়নগুলো এতদিন বিদ্যুৎবঞ্চিত ছিল।।
আড্ডায় এক হাজার ৫৮ জন, জোড্ডায় ৫৭৮ জন, মোকরায় ২৩৯ জন, বক্সগঞ্জে ১৩৫ জন, দৌলখাঁড়ে ৭৫৬ জন, পেরিয়ায় ৪১৬ জনকে বিদ্যুত সংযোগ দেওয়া হয়।
পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, শুধু আমার এলাকা নয়, দেশের প্রতিটি গ্রামে বিদ্যুৎ সংযোগ দেওয়া হবে। বিদ্যু সংযোগ নিয়ে কারও বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হলে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
অনুষ্ঠানে বিএনপি-জামায়াতের প্রায় ২০০ নেতা-কর্মী মন্ত্রীর হাতে ফুল দিয়ে আওয়ামী লীগে যোগ দিয়েছেন।
ইউনিয়ন বিএনপি নেতা শাহ আলমের যোগদানে মন্ত্রী রসিকতা করে বলেন, “আপনি দীর্ঘদিন আওয়ামী লীগ করেন নাই। তাই কাফফারা স্বরূপ আপনি সবাইকে চা খাওয়াবেন।”