ডাকবেন না, আমাকে রাস্তায় থাকতে দিন: কাদের

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবসের এক আলোচনায় গিয়ে সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের তাকে আলোচনা সভায় না ডাকার অনুরোধ জানিয়েছেন।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 21 May 2015, 04:53 PM
Updated : 21 May 2015, 07:15 PM

১৭ মে আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে বৃহস্পতিবার রাজধানীর সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি ভবনের শহীদ শফিউর রহমান মিলনায়তনে আলোচনা সভার আয়োজন করে পেশাজীবী সমন্বয় পরিষদ।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে ওবায়দুল কাদের বলেন, “আমাকে রাস্তায় থাকতে দিন, প্রোগ্রামে ডাকবেন না। মন্ত্রী আসলে টেলিভিশন (সাংবাদিক) আসবে- এ কালচার থেকে বেরিয়ে আসুন।

“আর আমরা যারা দলের মানুষ, তারা তো দলের কথাই বলব। আমাদের বাদ দিয়ে যারা এ চেতনাকে ধারণ করে, তাদের নিয়ে অনুষ্ঠান করুন।”

চার দশকের ইতিহাসে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে বাংলাদেশের সবচেয়ে বিচক্ষণ রাজনীতিবিদ, দক্ষ প্রশাসক ও সফল কূটনীতিক বলে মন্তব্য করেন তার দলের সভাপতিমণ্ডলীর এই সদস্য।

দলের নেতাকর্মীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, “তথাকথিত ভাষণ বাদ দিন, প্রচারমুখী হোন। এখন গৎবাঁধা কথা বললে কেউ শুনবে না, কারো পেটও ভরবে না।

“সরকারের অর্জনের তুলনায় প্রচার কম, অপপ্রচার বেশি। যেগুলো রেকর্ড অর্জন তারও প্রচার নেই, কিন্তু অপপ্রচার চলছে।”

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও শেখ হাসিনাকে নিয়ে যারা অবজ্ঞা করে কথা বলবে তারা ইতিহাসের ‘চালনির ছিদ্র’ দিয়ে চলে যাবে বলে মন্তব্য করেন ওবায়দুল কাদের।

তিনি বলেন, “শেখ হাসিনা সমুদ্র থেকে সীমান্ত বিজয় করে প্রমাণ করে দিয়েছে যে, ‘আমরা পারি’। সবকিছুতেই সমালোচনা থাকবে। কিন্তু সবকিছুর ঊর্ধ্বে শেখ হাসিনা।”

অনুষ্ঠানে অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম বলেন, “বিএনপির দ্বারা জঙ্গিবাদ প্রশ্রয় পেয়েছে। চট্টগ্রামের ১০ ট্রাক অস্ত্রই এর প্রমাণ। আর শেখ হাসিনা ক্ষমতায় না আসলে জঙ্গি দমন হত না।”

সাবেক বিচারপতি এ এফ এম মেজবাহ উদ্দিনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক, ব্যারিস্টার আমীর-উল ইসলাম, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য কামরুল হাসান  বক্তব্য দেন।