বর্জনের উদ্দেশ্য নির্বাচন প্রশ্নবিদ্ধ করা: হাছান মাহমুদ

বিএনপি পরাজয় আঁচ করে আগের পরিকল্পনা অনুযায়ী ভোট গ্রহণের মাঝ পর্যায়ে সিটি করপোরেশন নির্বাচন বর্জন করেছে বলে দাবি করেছেন আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক হাছান মাহমুদ।

নিজস্ব প্রতিবেদকচট্টগ্রাম ব্যুরো ওবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 28 April 2015, 04:57 PM
Updated : 28 April 2015, 05:32 PM

“প্রকৃতপক্ষে বিএনপির উদ্দেশ্য ছিল নির্বাচন, নির্বাচন কমিশনকে প্রশ্নবিদ্ধ করে সরকারি দলের ওপর দোষ চাপানো,” বলেছেন তিনি।

ভোটের সময় চট্টগ্রামে অবস্থানরত হাছান মাহমুদ মঙ্গলবার বিএনপি সমর্থিত মেয়র প্রার্থী এম মনজুর আলমের ভোট বর্জনের ঘোষণার দুই ঘণ্টার মধ্যে এক সংবাদ সম্মেলনে একথা বলেন হাছান মাহমুদ।

ক্ষমতাসীন দলের এই সংসদ সদস্য চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন নির্বাচনে আওয়ামী লীগ সমর্থিত মেয়র প্রার্থী আ জ ম নাছির উদ্দিনের প্রচারে ছিলেন।

প্রিয়া কমিউনিটি সেন্টারে নাছিরের নির্বাচনী কার্যালয়ে হাছান মাহমুদের সংবাদ সম্মেলনের আগে ব্যাপক জালিয়াতির অভিযোগ তুলে ভোট বর্জনের পাশাপাশি রাজনীতি ছাড়ার ঘোষণা দেন বিএনপির মনজুর।

চট্টগ্রামে ভোটের পরিবেশ উৎসবমুখর ছিল দাবি করে হাছান মাহমুদ বলেন, “গত কয়েকদিনে তারা (বিএনপি) বুঝতে পেরেছিল, তারা পরাজিত হতে যাচ্ছে।

“দুরভিসন্ধির অংশ হিসেবে ভোট বর্জন। প্রকৃতপক্ষে বিএনপি-জামায়াত জোট গণতন্ত্রকে হত্যা করতে চাইছে। এর অংশ হিসেবেই ভোট বর্জন।”

বিভিন্ন কেন্দ্র পরিদর্শনের কথা জানিয়ে তিনি উল্টো বলেন, গভর্নমেন্ট কমার্শিয়াল ইনস্টিটিউট, চাক্তাই এলাকায় কয়েকটি কেন্দ্র দখলে হাতবোমা ফাটিয়েছিল বিএনপির কর্মীরা।

ঢাকা দক্ষিণে মেয়র প্রার্থী সাঈদ খোকনের নির্বাচন পরিচালনা কমিটির প্রধান সমন্বয়ক আওয়ামী লীগ নেতা আব্দুর রাজ্জাকও বিকালে বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে একই কথা বলেন।

“বিএনপি ষড়যন্ত্র করে নির্বাচন থেকে সরে গেছে। নির্বাচনে অংশ নেওয়া বিএনপির একটি কৌশল ছিল, তা ব্যর্থ হয়েছে। নিশ্চিত পরাজয় বুঝতে পেরেই তারা সরে দাঁড়িয়েছে।”

বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা মনজুরের রাজনীতি থেকে সরে দাঁড়ানোর প্রসঙ্গে আওয়ামী লীগ নেতা বলেন, “শুধু নির্বাচন নিয়ে অভিযোগ থাকলে তিনি রাজনীতি বর্জনের কথা বলতেন না।

“প্রকৃতপক্ষে বিএনপির কাছ থেকে মনজুর আলম সহায়তা পাননি। বিএনপির ওপর তার প্রচণ্ড ক্ষোভ। তিনি বিএনপির ওপর হতাশা থেকে এ কথা বলেছেন।”

মনজুরের বিষয়ে রাজ্জাকও বলেন, “এর মানে হল, বিএনপির কোনো নেতা-কর্মী তার পক্ষে দায়িত্ব পালন করেনি। বিএনপির স্থানীয় নেতা-কর্মীরা তার সাথে বেঈমানি করেছে।”

সার্বিকভাবে নির্বাচন শান্তিপূর্ণ ছিল দাবি করে তিনি বলেন, “দুই-একটি ছোটখাটো দুর্ঘটনা হয়েছে।”