গণভবনের ফটকে কাদের সিদ্দিকীর স্ত্রীর ১৮ মিনিট

স্বামীর হয়ে সংলাপের বার্তা নিয়ে গণভবন গিয়েও নিস্ফল হয়ে ফিরেছেন কৃষক, শ্রমিক, জনতা লীগের সভাপতি আব্দুল কাদের সিদ্দিকীর স্ত্রী নাসরিন সিদ্দিকী।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 10 Feb 2015, 08:00 AM
Updated : 10 Feb 2015, 01:50 PM

চলমান রাজনৈতিক অস্থিরতার অবসানে সংলাপে বসতে দুই প্রধান দলের প্রতি দাবি জানিয়ে মতিঝিলে নিজের কার্যালয়ের সামনে সপ্তাহ ধরে অবস্থান করছেন কাদের সিদ্দিকী।

এর মধ্যে তার বার্তা নিয়ে মঙ্গলবার সকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে দেখা করতে গণভবনে যান নাসরিন। তবে প্রধানমন্ত্রী তখন গণভবনে ছিলেন না।

সকাল ১১টার দিকে নাসরিন সিদ্দিকী গণভবনের ফটকে পৌঁছান।

গণভবনের কর্মকর্তারা তাকে জানান, প্রধানমন্ত্রী সাড়ে ৯টার দিকে একনেকের বৈঠকে অংশ নিতে বেরিয়ে গেছেন। নাসরিন আগে যোগাযোগ করে এলে বিষয়টি প্রধানমন্ত্রীকে জানানো যেত।

১৮ মিনিট গণভবনের সামনে সড়কে দাঁড়িয়ে থেকে ১১টা ১৮ মিনিটে গাড়ি নিয়ে আবার মোহাম্মদপুরের বাসায় ফিরে যান নাসরিন।

তার সঙ্গে ছিলেন ছোট মেয়ে কুশি সিদ্দিকী, কাদের সিদ্দিকীর ব্যক্তিগত সচিব ফরিদ আহমেদ, যুব আন্দোলনের আহ্বায়ক হাবিবুন নবী সোহেল, ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক রিফাতুল ইসলাম দ্বীপ।

ফিরে যাওয়ার সময় নাসরিন সিদ্দিকী সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তরে বলেন, “আমি এখন কিছু বলব না। আমার স্বামীর সঙ্গে কথা বলে আপনাদের সবকিছু জানানো হবে।”

সাক্ষাতের জন্য সময় চেয়ে প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরে চিঠি দেওয়া হয়েছিল বলে দাবি করেন কাদের সিদ্দিকীর স্ত্রী।

কৃষক, শ্রমিক, জনতা লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ইকবাল সিদ্দিকী বলেন, “আমরা গত শনিবার প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরে সাক্ষাত চেয়ে চিঠি দিয়েছিলাম।”

স্বামীর সঙ্গে নাসরিন সিদ্দিকী (ফাইল ছবি)

 

বঙ্গবন্ধুর ঘনিষ্ঠ কাদের সিদ্দিকী ১৯৭৫ এর ট্রাজেডির পর অস্ত্র হাতে তুলে নিয়েছিলেন। এক পর্যায়ে সরকারি বাহিনীর সঙ্গে পেরে উঠতে না পেরে ভারতে আশ্রয় নেন, স্ত্রী নাসরিন তার সঙ্গেই ছিলেন।

১৯৯০ এর গণঅভ্যুত্থানে সামরিক শাসনের অবসান ঘটলে বাংলাদেশে ফিরে আসেন কাদের সিদ্দিকী এবং সক্রিয় হন আওয়ামী লীগে।

১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগের টিকিটে সংসদ সদস্যও হয়েছিলেন কাদের সিদ্দিকী। কিন্তু এরপর মতদ্বন্দ্ব থেকে আওয়ামী লীগ ছেড়ে নতুন দল গঠন করেন তিনি।

বীরউত্তম খেতাবধারী মুক্তিযোদ্ধা কাদের সিদ্দিকীর সাম্প্রতিক ভূমিকা বেশ বিতর্কের জন্ম দিয়েছে। তার ভাই আব্দুল লতিফ সিদ্দিকীর ভাষায়, একজন মুক্তিযোদ্ধার রাজাকার হওয়ার শখ জেগেছে।

টাঙ্গাইলের প্রভাবশালী সিদ্দিকীদের বড় ভাই লতিফ সিদ্দিকী ছয় মাস আগে দাপটের সঙ্গে আওয়ামী লীগে ছিলেন, টানা দুই বার মন্ত্রী ছিলেন তিনি।

গত সেপ্টেম্বরে নিউ ইয়র্কে হজ নিয়ে এক মন্তব্যের জন্য মন্ত্রিত্ব ও দলীয় পদ হারিয়ে ধর্ম অবমাননার মামলায় গ্রেপ্তার হয়ে এখন কারাগারে রয়েছেন তিনি।