রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে শুক্রবার বিকেলে এক সমাবেশে তিনি এ কথা বলেন।
জিয়ার খালেদা জিয়ার উদ্দেশে নৌমন্ত্রী বলেন, “২ ফেব্রুয়ারি এসএসসি পরীক্ষা শুরু হবে। এর মধ্যে যদি আপনি অবরোধ তুলে না নেন তাহলে আপনার গ্যাস, পানি, বিদ্যুতের লাইন কেটে দেওয়া হবে। যে গাড়িতে করে আপনার জন্য খাবার নিয়ে যাওয়া হয় তাও নিতে দেওয়া হবে না। পোড়া গাড়ি নিয়ে আপনার কার্যালয় ঘেরাও করা হবে।”
শ্রমিক-কর্মচারী-পেশাজীবী-মুক্তিযোদ্ধা সমন্বয় পরিষদ এ সমাবেশের আয়োজন করে।
এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নেওয়া শিক্ষার্থীর কথা বিবেচনা করে বেশ কয়েকদিন ধরেই অবরোধ প্রত্যাহারের অনুরোধ জানিয়ে আসছিল সরকার।
তবে ওই অনুরোধে সাড়া না দিয়ে পরীক্ষা শুরুর একদিন আগে থেকে সারাদেশে অবরোধের পাশাপাশি ৭২ ঘণ্টার টানা হরতাল ডেকেছে বিরোধী জোট।
শাজাহান খান বলেন, “আজ আপনি (খালেদা জিয়া) কত মায়ের বুক খালি করবেন? কত শিশুকে আপনি হত্যা করেবেন? আপনার মনে এতটুকু মায়া থাকলে এ সহিংসতা বন্ধ করুন। না হলে এই আগুনে একদিন আপনাকেই পুড়তে হবে।”
খালেদা জিয়াকে অনতিবিলম্বে গ্রেপ্তার করতে প্রধানমন্ত্রীর প্রতি আহ্বান জানান তিনি।
মহাসমাবেশে চলচ্চিত্র পরিচালক কাজী হায়াৎ বলেন, “ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য বিএনপি নেত্রী বেগম খালেদা জিয়া মানুষ পোড়াচ্ছে। তিনি (খালেদা জিয়া) তো দুই বার ক্ষমতায় ছিলেন। কিন্তু আপনি মানুষের জন্য কি করেছেন।”
বিএনপি জামায়াতের সমালোচনা করে তিনি বলেন, “৪৫ বছর পরে তারা জাতির পিতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে। এর সুরাহা করতে হবে।”
মুক্তিযোদ্ধা কেন্দ্রীয় কমান্ড কাউন্সিলের চেয়ারম্যান হেলাল মোর্শেদ খান বিরোধী জোটের নৈরাজ্য প্রতিহত করতে সবাইকে মাঠে থাকার আহ্বান জানান।
তিনি বলেন, “মুক্তিযুদ্ধে পক্ষের এই সরকারকে আমাদের ধরে রাখতে হবে। আর যেন বাংলাদেশে কোন রাজাকারের গাড়িতে জাতীয় পতাকা না ওঠে।”
সমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন নারী নেত্রী শিরিন আক্তার, ইসমত কাদের গামা, ঢাকা বিভাগ শ্রমিক লীগের সভাপতি নূরুল ইসলাম, শ্রমিক নেতা তাজুল ইসলাম প্রমুখ।
অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক, আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক ড. আবদুস সোবাহান গোলাপ, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক অসীম কুমার উকিল, কার্যনির্বাহী সদস্য সুজিত রায় নন্দী প্রমুখ।