শুক্রবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে গুলশানে তার কার্যালয়ে এই বৈঠক শুরু হয়েছে বলে জানিয়েছেন আমাদের প্রধান রাজনৈতিক প্রতিবেদক সুমন মাহমুদ।
বিএনপি প্রধান খালেদা জিয়ার বিভিন্ন জেলা সফরের অংশ হিসেবে বেশ কিছু দিন আগেই গাজীপুরে জনসভার কথা জানিয়েছিল বিএনপি।
এরপর তারেক রহমানের এক বক্তব্যকে কেন্দ্র করে তার মা খালেদার জনসভা ঠেকানোর ঘোষণা দিয়ে বদরে আলম কলেজ মাঠে একই দিন সমাবেশের কর্মসূচি দেয় ছাত্রলীগ।
মঙ্গলবার রাতে কলেজ মাঠে এলাকায় বিএনপির লাগানো ব্যানার-ফেস্টুন ভাংচুর করে তাতে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়। মাঠ দখলে নিয়ে ছাত্রলীগ কর্মীরা বৃহস্পতিবার থেকে সেখানে দফায় দফায় মিছিল চালিয়ে যায়।
মাঠের ভেতরে সামিয়ানা টাঙিয়ে ছাত্রলীগের বিক্ষোভ সমাবেশের ব্যানার ঝুলিয়ে রাখতে দেখা যায়।
বিএনপি ও আওয়ামী লীগের এমন পাল্টাপাল্টি অবস্থানের পরিপ্রেক্ষিতে গাজীপুরের জেলা প্রশাসন দুপুর থেকে বদরে আলম কলেজ মাঠে জনসভাস্থল ও তার আশপাশের এলাকায় সভা-সমাবেশ ও মিছিল নিষিদ্ধ করে।
জরুরি অবস্থা জারির পর রাতে খালেদা জিয়ার সভাপতিত্বে ওই বৈঠকে দলের ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য মওদুদ আহমদ, মাহবুবুর রহমান, আসম হান্নান শাহ, জমিরউদ্দিন সরকার, মির্জা আব্বাস, নজরুল ইসলাম খান, ভাইস চেয়ারম্যান আলতাফ হোসেন চৌধুরী, সেলিমা রহমান উপস্থিত রয়েছেন।
এছাড়াও সেখানে রয়েছেন চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আবদুল আউয়াল মিন্টু, শামসুজ্জামান দুদু, গাজীপুর সিটি মেয়র অধ্যাপক এম এ মান্নানসহ কেন্দ্রীয় ও অঙ্গসংগঠনের নেতারা।