এই সরকারের পতনে ভোটাধিকার ফিরবে: আমীর খসরু

বর্তমান সরকারকে ‘অবৈধ’ আখ্যায়িত করে এর পতন হলে জনগণ ভোটাধিকার ফিরে পাবে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী।

চট্টগ্রাম ব্যুরো বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 16 Dec 2014, 04:21 PM
Updated : 16 Dec 2014, 06:15 PM

মঙ্গলবার সকালে নগরীর নাসিমন ভবনস্থ দলীয় কার্যালয়ের সামনে থেকে বিজয় দিবসের মিছিল শুরুর আগে সমাবেশে এ মন্তব্য করেন তিনি।

গণ আন্দোলনের মধ্য দিয়ে এই জনবিচ্ছিন্ন সরকারের পতন ঘটানোর হুঁশিয়ারি দিয়ে আমীর খসরু বলেন, অবৈধ আওয়ামী সরকারের নাগপাশ থেকে জনগণকে মু্ক্ত করতে পারলে জনগণ স্বাধীনতার প্রকৃত স্বাদ পাবে।

“শুধু তাই নয়, এ সরকারের পতন হলে জনগণ ভোটাধিকার ফিরে পাবে। দেশ অর্থনৈতিকভাবে মুক্ত হবে, দেশে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা পাবে এবং  গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার সম্ভব হবে।”

তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ একদলীয় শাসন কায়েমের পাঁয়তারা করছে। দেশের জনগণ আওয়ামী লীগের এ স্বপ্ন সফল হতে দিবে না।

চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সহ-সভাপতি আবু সুফিয়ানের সভাপতিত্বে ও মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ডা. শাহাদাত হোসেনের পরিচালনায় আরো বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম উত্তর জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আসলাম চৌধুরী, চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা বিএনপির সভাপতি জাফরুল ইসলাম চৌধুরী ও বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য মাহবুবুর রহমান শামিম।

আওয়ামী লীগ ‘বিশ্রামে থাকা স্বঘোষিত মুক্তিযোদ্ধার’ দল

অপর এক জনসভায় আওয়ামী লীগকে মুক্তিযুদ্ধের সময় ওপার বাংলায় বিশ্রামে থাকা ‘স্বঘোষিত মুক্তিযোদ্ধার দল’ বলে আখ্যায়িত করেছেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল্লাহ আল নোমান। 

মঙ্গলবার বিকালে নগরীর অলঙ্কার মোড়ে বিজয় দিবস উপলক্ষে শোভাযাত্রা শুরুর আগে সমাবেশে নোমান বলেন, বিএনপি এপার বাংলায় রণাঙ্গনে যুদ্ধ করা সংখ্যাগরিষ্ঠ মুক্তিযোদ্ধাদের দল আর আওয়ামী লীগ ওপার বাংলায় বিশ্রামে থাকা স্বঘোষিত মুক্তিযোদ্ধার দল। 

“একাত্তর সালে শেখ মুজিবুর রহমানের রাজনৈতিক সিদ্ধান্তহীনতার কারণে শহীদ জিয়াকে স্বাধীনতার ঘোষণা দিতে হয়েছিল। সেদিন শহীদ জিয়া সঠিক সময়ে স্বাধীনতার ঘোষণা না দিলে বাংলাদেশের স্বাধীনতা অর্জন অনেক প্রলম্বিত হত।”

বিএনপি নেতা নোমান বলেন, মুক্তিযুদ্ধের মূলমন্ত্র ছিল বহুদলীয় গণতন্ত্র, বাক স্বাধীনতা ও মানুষের ভোটাধিকার। আওয়ামী লীগ ৫ জানুয়ারি নীল নকশার নির্বাচনের মাধ্যমে গণতন্ত্র ও ভোটাধিকার হরণ করে মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে ভূলুণ্ঠিত করেছে।

“দেশে বর্তমানে গভীর সংকট চলছে। আইনের শাসনের পরিবর্তে হাসিনার শাসন চলছে। র‌্যাবকে রাজনৈতিকভাবে ব্যবহার করে বিএনপি নেতাকর্মীদের নির্বিচারে গুম-হত্যা করছে। মানুষ ঘরে থাকলে খুন হচ্ছে আর বাইরে গেলে গুম হচ্ছে।”

পাহাড়তলি, হালিশহর ও খুলশী থানা বিএনপি ও অঙ্গসংগঠন যৌথভাবে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।

সমাবেশ শেষে বিকাল সাড়ে ৪টার দিকে বর্ণাঢ্য বিজয় শোভাযাত্রা বের হয়। শোভাযাত্রাটি সাগরিকা সড়ক, নয়াবাজার, হালিশহর হয়ে বড়পোল মোড়ে গিয়ে শেষ হয়।

পাহাড়তলি থানা বিএনপির আহ্বায়ক শামসুল আলমের সভাপতিত্বে সমাবেশে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন নগর বিএনপির ‍সাধারণ সম্পাদক ডা. শাহাদাত হোসেন, সাবেক যুগ্ম সম্পাদক এম এ সবুর, জাসাস সভাপতি কাজী আকবর, যুবদল সভাপতি কাজী বেলাল ও কেন্দ্রীয় শ্রমিক দলের যুগ্ম সম্পাদক শেখ নুরুল্লাহ বাহার।