খালেদার অপেক্ষায় স্মৃতিসৌধে ভোগান্তি

বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া জাতীয় স্মৃতিসৌধে যাওয়ার আগে কয়েক ঘণ্টা ভোগান্তি পোহাতে হয়েছে শ্রদ্ধা জানাতে আসা সাধারণ মানুষকে।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 16 Dec 2014, 06:42 AM
Updated : 16 Dec 2014, 06:42 AM

খালেদা জিয়া স্মৃতিসৌধে এসে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন সকাল সাড়ে ৯টার পর। কিন্তু তাকে স্বাগত জানাতে আসা নেতাকর্মীরা সকাল ৭টা থেকেই বেদির সামনে অবস্থান নেন।

সময় গড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে শহীদ বেদীর সামনে বিএনপি এবং এর বিভিন্ন অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদের ভিড় বাড়তে থাকে।

বিভিন্ন স্থান থেকে খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের ছবিসহ প্ল্যাকার্ড-ফেস্টুন নিয়ে স্মৃতিসৌধে আসা বিএনপি কর্মীদের এ সময় নিজেদের স্থানীয় নেতার নামে স্লোগান দিতে শোনা যায়। সংগঠনগুলোর বিভিন্ন নেতার নাম লেখা ব্যান্ডও দেখা যায় অনেকের মাথায়।

এক পর্যায়ে সৌধবেদীর সামনের পুরো স্থানই বিএনপি নেতাকর্মীদের দখলে চলে গেলে বিভিন্ন সংগঠন ও মানুষকে সেই ভিড় ঠেলে ফুল দিতে যেতে হয়।

সহকর্মীদের সঙ্গে নিয়ে ৪৫ মিনিটের চেষ্টায় ফুল দেন পাওয়ার গ্রিড কোম্পানি অব বাংলাদেশের কর্মকর্তা আব্দুল হাই।

এই ভোগান্তিতে ক্ষোভ প্রকাশ করে তিনি বলেন, “অন্যবারও ফুল দিতে এসে ভিড় দেখি। কিন্তু সেটা স্বাভাবিক ভিড়। সবাই ফুল দেয়, চলে যায়। তাতে ভোগান্তি হয় না।

“এবারের ভিড়টা তৈরি করেছে ছাত্রদল-যুবদল। তারাতো বেদী দখল করে নিয়েছে। স্মৃতিসৌধে এসেছেন, ভালো কথা, ফুল দিয়ে যান। কিন্তু নেতা-নেত্রীদের চেহারা দেখানোর জন্য কেন এই পবিত্র স্থানে অন্যদের ভোগান্তির কারণ হচ্ছেন?”

ভিড়ের কারণে তার সঙ্গে আসা অনেকে বেদী পর্যন্ত পৌঁছতে পারেননি বলে জানান হাই।

বাংলাদেশ বিজ্ঞান ও শিল্প গবেষণা পরিষদের পক্ষ থেকে ফুল দিতে আসা পঞ্চাশোর্ধ্ব আব্দুল হাকিম বলেন, “এবারের ভিড়টা একটু বেশি। ফুল দিতে এসেছি। ভিড় ঠেলেই ফুল দিলাম।”

বেদির সামনে বিএনপি নেতাকর্মীদের জটলার কারণে লাইনের পেছনে শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদনে অপেক্ষায় থাকাদের গতি ধীর হয়ে যায়।

এদেরই একজন সাভারের মুক্তিযোদ্ধা করিম বলেন, “দুই ঘণ্টা ধরে অপেক্ষা করছি। কিন্তু লাইন আর আগায় না।

খালেদা জিয়া চলে যাওয়ার পর ফিরে যান নেতাকর্মীরা। ভিড় কমে এলে অপেক্ষমানদের ভোগান্তিও লাঘব হয়।