শুক্রবার এক আলোচনা সভায় তিনি বলেন, “সম্প্রতি খালেদা জিয়া বলেছেন, শেখ হাসিনার এমন মৃত্যু হবে ইন্না লিল্লাহ...বলার সময়ও পাবেন না। শেখ হাসিনাকে হত্যার পরিকল্পনা করছেন খালেদা জিয়া।
“শেখ হাসিনার যদি কিছু হয় তাকেই হুকুমের আসামি করে মামলা করা হবে। খালেদা জিয়ার কালো হাত গুঁড়িয়ে দেওয়া হবে।”
খালেদা জিয়ার ছেলে বিএনপির জ্যেষ্ঠ ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানেরও কঠোর সমালোচনা করেন ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক কামরুল।
বিএনপির সঙ্গে আলোচনার প্রশ্ন নাকচ করে কামরুল বলেন, আগামী নির্বাচনে নির্বাচনকালীন সরকারের প্রধান হবেন শেখ হাসিনা। সংসদে না থাকায় বিএনপির সেই নির্বাচনকালীন সরকারে থাকার সুযোগ নেই। সুতরাং তাদের সঙ্গে সংলাপেরও প্রশ্ন আসে না।
“বিএনপির কারণেই তত্ত্বাবধায়ক সরকারের কবর রচনা হয়েছে। ভবিষ্যতে আর তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা আসবে না। আগামী নির্বাচন হবে শেখ হাসিনার নেতৃত্বেই।”
জনগণ বিএনপির সঙ্গে নেই মন্তব্য করে তিনি বলেন, “জনগণ কি চায় সে ব্যারোমিটার বিএনপি জানে না।”
ঢাকা সিটি কর্পোরেশনের প্রথম নির্বাচিত মেয়র ও ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি মোহাম্মদ হানিফের অষ্টম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোট শিল্পকলা একাডেমির মহড়া কক্ষে এই আলোচনার আয়োজন করে।
২০০৬ সালের ২৮ নভেম্বর রাজধানীর একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান হানিফ।
ইতিহাস ও রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে ‘ষড়যন্ত্রকারীদের’ রুখে দিতে সবার সহযোগিতা চেয়ে কামরুল বলেন, “জঙ্গিবাদের মদদদাতাদের রুখতে পারলেই সাবেক মেয়র হানিফের আত্মা শান্তি পাবে।”
বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোটের সহ সভাপতি অভিনেতা ড. ইনামুল হকের সভাপতিত্বে এ আলোচনা সভায় অন্যদের মধ্যে অভিনেতা এটিএম শামসুজ্জামান, আওয়ামী লীগ নেতা শাহ আলম, বলরাম পোদ্দার ও জোটের সাধারণ সম্পাদক অরুণ সরকার রানা বক্তব্য দেন।