সমাবেশ শেষে নগর আওয়ামী লীগের সভাপতি এ বি এম মহিউদ্দিন চৌধুরী ও সাধারণ সম্পাদক আ জ ম নাছির উদ্দিনের উপস্থিতিতে মুক্তিযোদ্ধা কমাণ্ডের নেতাকর্মীরা লতিফ সিদ্দিকীর কুশপুতুল দাহ করেন।
সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে সাবেক মেয়র এ বি এম মহিউদ্দিন চৌধুরী বলেন, "বর্তমান সরকার অবশ্যই লতিফ সিদ্দিকীকে আইন ও বিচারের আওতায় এনে সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত করবে। বাংলাদেশের পবিত্র মাটিতে কোনো ধর্মদ্রোহীর স্থান নেই।"
লতিফ সিদ্দিকীর বিরুদ্ধে তাৎক্ষণিক শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়ায় প্রধানমন্ত্রীর প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে তিনি বলেন, "একজন ধর্মপ্রাণ রাষ্ট্রনায়ক হিসেবে পবিত্র তিনি ধর্মীয় ও নৈতিক কর্তব্য পালন করে জাতিকে রক্ষা করেছেন।"
সমাবেশে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে আ জ ম নাছির বলেন, "বাংলাদেশে সব জনগোষ্ঠী ধর্মীয় স্বাধীনতা ও অধিকার ভোগ করে। আমরা প্রত্যেকের ধর্মের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। কিন্তু এদেশে কোনো ধর্মদ্রোহী আশ্রয়-প্রশ্রয় পেতে পারে না।
“প্রধানমন্ত্রী যখন বাংলাদেশের ভাবমূর্তি বিশ্বসভায় উজ্জ্বল করে চলেছেন তখন চক্রান্তকারী মহল বিশাল অংকের অর্থ দিয়ে লতিফ সিদ্দিকীকে দিয়ে ইসলাম ও নবীর বিরুদ্ধে বিদ্রুপ মন্তব্য করিয়েছে।"
মুক্তিযোদ্ধা সংসদ চট্টগ্রাম মহানগর কমাণ্ডার মোজাফফর আহমদের সভাপতিত্বে সভায় সঞ্চালনা করেন ডেপুটি কমাণ্ডার শহীদুল হক চৌধুরী। অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন সংসদের কেন্দ্রীয় কমাণ্ড কাউন্সিলের ভাইস চেয়ারম্যান এস এম মরতুজা হোছাইন, সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান আবুল হাসেম প্রমুখ।