সংলাপ না ডাকলে তার পরিণতি শুভ হবে না বলেও মঙ্গলবার এক সংবাদ সম্মেলনে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন দলটির যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।
৫ জানুয়ারির ‘ভোটারবিহীন’ নির্বাচনের মাধ্যমে নির্বাচিত এই সরকারকে ইঙ্গিত করে রিজভী বলেন, “অটো নির্বাচনে অটো এমপি, অটো মন্ত্রী বানিয়ে এক কিম্ভুত কিমাকার অটো সরকারের অটো প্রধানমন্ত্রী হয়ে শেখ হাসিনা দেশে একদলীয় শাসন কায়েম করেছেন।”
এই ‘দুঃশাসন’ থেকে মুক্তিতে আন্দোলনের হুমকি দিয়ে তিনি বলেন, “জনগণের ইচ্ছার বিরুদ্ধে যে যত বড় স্বৈরাচারী ও ফ্যাসিস্ট সরকার হোক না কেন, কেউ পাশ কাটাতে পারবে না। খালেদা জিয়ার সংলাপের আহ্বানে সাড়া না দিলে এর পরিণতি শুভ হবে না।”
৫ জানুয়ারির ভোট বর্জন করে সংসদের বাইরে থাকা বিএনপি আগাম নির্বাচনের দাবিতে সংলাপের আহ্বান জানিয়ে এলেও আওয়ামী লীগের কোনো সাড়া তাতে নেই।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খানও সংলাপের উদ্যোগ নিতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।
মঙ্গলবার শ্রমিক দলের নেতা-কর্মীদের নিয়ে জিয়াউর রহমানের কবরে ফুল দিয়ে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, “আলোচনার মাধ্যমে সরকার সংকট সমাধানে না করলে আন্দোলনে এর সমাধান হবে। জোর করে অতীতেও কেউ ক্ষমতায় থাকতে পারেনি, এই অবৈধ সরকারও পারবে না।”
নয়া পল্টনের সংবাদ সম্মেলনে রিজভী যুক্তরাষ্ট্রে বিভিন্ন অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বক্তব্যের নিন্দাও জানান।
“ছলনা ও চতুরতার জুড়ি মেলাভার বর্তমান প্রধানমন্ত্রীর। নিজের নিষ্ঠুর অপকর্মের মধ্য দিয়ে নিজের যে অবয়ব তিনি দাঁড় করিয়েছেন, সেটি অন্যের ঘাড়ে চাপাতে এদেশে তার জুড়ি নেই। অপপ্রচার চালানোর একটি জলজ্যান্ত মেশিন তিনি। প্রতিদিন হত্যা ও গুমের প্রচণ্ড ভয়াবহতায় যার হাত রক্তমাখা, তিনি কি না অন্যকে খুনি বলেন!”
সংবাদ সম্মেলনে দলের যুগ্ম মহাসচিব মিজানুর রহমান মিনু, কেন্দ্রীয় নেতা নাদিম মোস্তফা, রাজশাহীর সিটি মেয়র মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুলসহ ৭৯ জনের বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলার অভিযোগপত্র দেওয়ায় ক্ষোভ জানানো হয়।
রিজভী বলেন, “জনগণের ধেয়ে আসা আন্দোলনের ভয়ে সরকার আরো বেশি মামলা দিয়ে বিরোধী দলকে দমন করার কৌশল নিয়েছে। তারা নেতা-কর্মীদের রক্ত ঝরানোর জন্য বিকারগ্রস্ত হয়ে পড়েছে।”