এই হরতাল মানুষ প্রত্যাখ্যান করেছে বলেও দাবি করেন তিনি।
বৃহস্পতিবার বেলা ১১টার দিকে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে বাংলাদেশ স্বাধীনতা পরিষদ আয়োজিত হরতালবিরোধী সমাবেশে তিনি বলেন, “সারা দেশে মানুষ হরতাল প্রত্যাখ্যান করেছে। ঢাকার রাস্তায় গাড়ি চলছে। যানজট তৈরি হয়েছে।”
তিনি বলেন, “যুদ্ধাপরাধী দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদী মানবতাবিরোধী অপরাধে জড়িত থাকায় আদালত তার যাবজ্জীবন সাজা দিয়েছে। এ রায়ের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়ে জামায়াতে ইসলামী দেশব্যাপী হরতাল ডেকেছে। বিএনপি এখানে নীরবে তাদের সমর্থন দিয়েছে। তারা যা করছে তা আদালত অবমাননার শামিল।”
তিনি বলেন, “সাধারণ মানুষের এ রায় প্রত্যাশিত ছিল না। তারপরেও আদালতের প্রতি তাদের শ্রদ্ধা রয়েছে।”
একাত্তরে মানবতাবিরোধী অপরাধে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত সাঈদীর আপিলের রায় হয় বুধবার, যাতে সাজা কমিয়ে তাকে আমৃত্যু কারাদণ্ড দেয়া হয়। এরপর তার মুক্তি দাবিতে বৃহস্পতি ও রোববার সারা দেশে মোট ৪৮ ঘণ্টার হরতালের ডাক দেয় জামায়াতে ইসলামী।
আওয়ামী লীগ নেতা হাছান মাহমুদ বলেন, বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান বিশেষ পরিস্থিতিতে মুক্তিযুদ্ধে অংশ নিয়েছিলেন।
“পাকিস্তানের চর হিসেবে তিনি যে কাজ করেছেন এখন বিএনপি জামায়াতের পক্ষে সরাসরি অবস্থান নেয়ায় তা স্পষ্ট হয়েছে। গত বছর তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবিতে বিএনপি-জামায়াত দেশব্যাপী নাশকতা চালিয়েছে। দেশে বিশেষ পরিস্থিতি তৈরি করতে চেয়েছিল তারা। কিন্তু তাদের ষড়যন্ত্র সফল হয়নি।”
হরতালবিরোধী এই সমাবেশে বাংলাদেশ স্বাধীনতা পরিষদের সভাপতি জিন্নাত আলী খান, সহসভাপতি মাহফুজুর রহমান, এমএ করিম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।