একটি মামলায় তোপখানা রোডের মেহেরবা প্লাজা থেকে সোমবার সন্ধ্যায় তাকে গ্রেপ্তার করা হয় বলে পুলিশ জানিয়েছে।
বিআরটিসির সাবেক চেয়ারম্যান তৈমুর নারায়ণগঞ্জ বিএনপির সভাপতি। নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে তিনি প্রার্থী ছিলেন, পরে দলীয় সিদ্ধান্তে ভোট বর্জন করেন।
পল্টন থানার ওসি মোরশেদ আলম বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, বিজয়নগরের সৈয়দ মো. রুহুল আরেফীন নামে এক ব্যক্তির গত ১১ সেপ্টেম্বর দায়ের করা মামলায় তৈমুর আলমকে গ্রেপ্তার করা হয়।
মেহেরবা প্লাজায় অ্যাডভোকেট তৈমুরে কার্যালয় রয়েছে, সেখান থেকে গ্রেপ্তারের পর তাকে গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) কার্যালয়ে নেওয়া হয়েছ বলে ওসি জানান।
বিজয়নগরে জাতীয় বধির সংস্থার ভবনের বেইজমেন্ট ১৯৮৬ সালে ৬০ বছরের জন্য ইজারা নিয়েছিলেন আরেফীন। তৈমুর এই সংস্থার সভাপতি।
তৈমুরের গ্রেপ্তারের খবর ছড়িয়ে পড়লে বধির সংস্থার শতাধিক সদস্য পল্টন থানায় ভিড় করেন।
সংস্থার শিক্ষার্থীদের দোভাষী মনোয়ার হোসেন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “সংস্থার সভাপতির বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা হওয়ার প্রতিবাদে শিক্ষার্থীরা থানায় এসে ওসিকে তাদের কথা আমার মাধ্যমে জানিয়েছে।”
ইজারা নেওয়ার পর বেইসমেন্টের কিছু অংশে মালামাল রাখলেও পুরো অংশ বুঝিয়ে না দেওয়ায় উচ্চ আদালতে একটি মামলা করেন আরেফীন। মামলার বিজ্ঞপ্তি ওই ভবনে টাঙিয়েও দেওয়া হয়।
আরেফিনের মামলার তদন্ত কর্মকর্তা উপপরিদর্শক ওহিদুজ্জামান বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, গত ১১ সেপ্টেম্বর তৈমুর এবং তার লোকজন ওই বিজ্ঞপ্তি ভাংচুর এবং আরেফীনের যে মালামাল ছিল তা বাইরে এনে ফেলে দেন বলে মামলায় অভিযোগ করা হয়েছে।
তবে বধির সংস্থার হিসাবরক্ষক মজনু শেখ পল্টন থানার সামনে সাংবাদিকদের বলেন, আরেফীন ২০ বছরের চুক্তির পর প্রতি মাসে সংস্থাকে ৩০ হাজার ৪৪ টাকা ভাড়া দেওয়ার কথা থাকলেও তা দেননি।
ইজারার টাকা যেন আর দিতে না হয় সেজন্যই বধির সংস্থার সভাপতির বিরুদ্ধে আরেফীন এই মামলা করেছেন বলে তার দাবি।
খালেদার নিন্দা
তৈমুর আলম খন্দকারকে গ্রেপ্তারের নিন্দা জানিয়ে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া বলেছেন, রাজনৈতিক প্রতিহিংসা থেকে এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।
এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, “জনসমর্থনহীন নির্বাচনের পর অবৈধভাবে ক্ষমতায় টিকে থাকার জন্য সরকারের অপকৌশলের অংশ হিসেবে তৈমুর আলম খন্দকারকে মিথ্যা, বানোয়াট ও রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত মামলায় গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
“এক ব্যক্তির খেয়াল খুশির শাসন প্রতিষ্ঠা করতেই অবৈধভাবে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা দখলকারীরা এখন একদলীয় শাসনকে পাকাপোক্ত করার জন্য নানামুখী অপকৌশল এঁটে যাচ্ছে।”
বিএনপি চেয়ারপারসন অবিলম্বে তৈমুরের মুক্তি দাবি করেন।