তবে বিভেদ-বিভ্রান্তি সৃষ্টি করে নির্দলীয় সরকারের অধীনে আগাম নির্বাচনের আন্দোলন দমানো যাবে না বলেও সরকারকে হুঁশিয়ারি করেছেন তিনি।
জাতীয় প্রেস ক্লাবে বৃহস্পতিবার দলের সাবেক মহাসচিব আবদুস সালাম তালুকদারের পঞ্চদশ মৃত্যুবার্ষিকীর আলোচনায় ফখরুল সরকারের বিরুদ্ধে অভিযোগ তোলেন।
৫ জানুয়ারির নির্বাচন বর্জনের পর বিএনপির জোটসঙ্গী দল ন্যাপ ভাসানী জোট ছেড়ে বেরিয়ে গেছে। প্রধানমন্ত্রীর ইফতার অনুষ্ঠানে যোগ দেয়ার পর সম্প্রতি বাদ দেয়া হয় শেখ শওকত হোসেন নীলু নেতৃত্বাধীন এনপিপিকে।
আওয়ামী লীগ একই ধরনের চেষ্টা আগেও করেছিল দাবি করে ফখরুল বলেন, “এখনো নানা বিভক্তি সৃষ্টি করে আমাদের দল থেকে লোক নেয়ার চেষ্টা হচ্ছে।
“কিন্তু কোনো লাভ হবে না, যারা আন্দোলনের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করবে জনগণ তাদের ক্ষমা করবে না। আমরা স্পষ্টভাষায় বলে দিতে চাই, আন্দোলন দমানোর চেষ্টা করে সরকারের শেষ রক্ষা হবে না।”
আওয়ামী লীগ একদলীয় শাসনের দিকে যাচ্ছে দাবি করে তার পক্ষে নজির হিসেবে জাতীয় সম্প্রচার নীতিমালা প্রণয়ন এবং বিচারপতিদের অভিশংসনের ক্ষমতা সংসদের হাতে নেয়ার উদ্যোগকে তুলে ধরেন বিএনপি নেতা।
‘আশরাফ মিথ্যা বলেছেন’
তার সঙ্গে প্রায়ই কথা হয় বলে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও স্থানীয় সরকারমন্ত্রী সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম যে বক্তব্য সম্প্রতি দিয়েছেন তাকে ‘সম্পূর্ণ মিথ্যা’ বলে উড়িয়ে দিয়েছেন ফখরুল।
তিনি বলেন, “আশরাফ সাহেবকে একজন সজ্জন ব্যক্তি হিসেবে জানি। তিনি সম্প্রতি এক আলোচনা সভায় বলেছেন, আমার সঙ্গে না কি তার প্রায়ই কথা হয়। এটা ঠিক নয়। তিনি সম্পূর্ণ মিথ্যা কথা বলেছেন।”
৫ জানুয়ারির ‘একদলীয়’ নির্বাচনের পর থেকে এ পর্যন্ত সৈয়দ আশরাফের সঙ্গে কোনো কথা হয়নি বলে জানান বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব।
সালাম তালুকদারের স্মরণে এই আলোচনা সভায় ফখরুল এরশাদবিরোধী আন্দোলনে তার ভূমিকা তুলে ধরে দলীয় নেতা-কর্মীদের তাকে অনুসরণের আহবান জানান।
আবদুস সালাম তালুকদার স্মৃতি সংসদের উদ্যোগে আয়োজিত এই সভায় বিএনপি নেতা জমির উদ্দিন সরকার, মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, নজরুল ইসলাম খান, আবদুল্লাহ আল নোমান, সেলিমা রহমান, এম এ মান্নান বক্তব্য রাখেন।
অনুষ্ঠানে প্রয়াত সালাম তালুকদারের স্ত্রী মাহমুদা সালামও উপস্থিত ছিলেন।