সন্তানতুল্য হাওলাদার ছেড়ে যাবে না: এরশাদ

মহাসচিব পরিবর্তনের বিষয়টি এ বি এম রুহুল আমিন হাওলাদার সহজভাবেই মেনে নিয়েছেন বলে জানিয়েছেন জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হুসেইন মুহাম্মাদ এরশাদ।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 13 April 2014, 02:54 PM
Updated : 13 April 2014, 04:12 PM

হাওলাদারকে সরানোর তিন দিন পর রোববার দলের কাকরাইল কার্যালয়ে এক অনুষ্ঠানে এরশাদ বলেন,“ রুহুল (হাওলাদার) আমাকে বাবা ডাকে। সে আমার সন্তানতুল্য। সে কখনো আমাকে ছেড়ে যাবে না।”

আকস্মিকভাবেই গত বৃহস্পতিবার এরশাদ নিজ ক্ষমতাবলে পার্টির মহাসচিব পদ থেকে হাওলাদারকে অপসারণ করে জিয়াউদ্দিন বাবলুকে মহাসচিব হিসেবে নিয়োগ দেন।

নতুন মুখের প্রয়োজনেই মহাসচিব পরিবর্তন করা হয়েছে বলে জানান তিনি।

এরশাদ  বলেন, “এখানে আসার কিছুক্ষণ আগে তার সঙ্গে আমার কথা হয়েছে। সে বলেছে, যতদিন সে বেঁচে আছে, ততদিন জাতীয় পার্টির সঙ্গে থাকবে। আমার সঙ্গে থাকবে। আমরা এক এবং অভিন্ন।”

২০০১ এর নির্বাচনের আগে জাতীয় পার্টির তৎকালীন মহাসচিব আনোয়ার হোসেন মঞ্জুর নেতৃত্বে একাংশ দল থেকে বেরিয়ে যাওয়ার পর হাওলাদারকে মহাসচিব করেছিলেন এরশাদ।

ফাইল ছবি

এরশাদ বলেন, “জাতীয় পার্টিতে হাওলাদারের অবদান ভুললে চলবে না। সে ১৪ বছর মহাসচিব ছিল, দলের হাল ধরে রেখেছিল। জাতীয় পার্টির নেতা-কর্মীরা অবশ্যই তার অবদান স্মরণ রাখবে।”

অনুষ্ঠানে নতুন মহাসচিব বাবলু বলেন, “আমি যখন ছাত্র ছিলাম, বামপন্থী রাজনীতিতে যুক্ত ছিলাম তখন মাননীয় চেয়ারম্যানের (এরশাদ) সঙ্গে আমার সাক্ষাতের সুযোগ হয়েছিল। তিনি তখন রাষ্ট্রপতি।

“আমি তার ব্যবহারে মুগ্ধ হয়েছিলাম। তিনি তখনো আমার কাছে পিতার মতো ছিলেন, এখনো আছেন। যতদিন বাংলাদেশ থাকবে ততদিন হুসেইন মুহাম্মাদ এরশাদ থাকবে, জাতীয় পার্টি থাকবে।”

গত শতকের ৮০ এর দশকে সামরিক শাসনবিরোধী আন্দোলনের মধ্যে ডাকসুর জিএস থাকা অবস্থায় বাবলু এরশাদের সরকারের যোগ দেয়ায় এখনো তার সমালোচনামুখর তখনকার ছাত্রনেতারা।

নিজের নতুন দায়িত্ব প্রসঙ্গে বাবলু বলেন,“হাওলাদার আমার বন্ধু। আমরা একসাথে রাজনীতি করেছি। আমি প্রত্যাশা করব, তিনি আমাকে সহযোগিতা করবেন।”

এই অনুষ্ঠানে হাওলাদার ছিলেন না। উপস্থিত ছিলেন আনিসুল ইসলাম মাহমুদ, কাজী ফিরোজ রশীদ, সৈয়দ আবু হোসেন বাবলা, ফয়সল হোসেন চিশতী প্রমুখ।