তখন তারা কোথায় ছিলেন: হাসিনা

বিএনপিবিহীন সংসদে কার্যকর বিরোধী দলের অনুপস্থিতি নিয়ে যারা উচ্চকণ্ঠ, বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের অনিয়মে তাদের ‘নীরবতার’ সমালোচনা করলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। 

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 18 March 2014, 01:49 PM
Updated : 18 March 2014, 04:03 PM

দশম সংসদে কার্যকর বিরোধী দল নেই বলে এর মেয়াদ সাময়িক হবে বলে টিআইবির পর্যবেক্ষণ প্রতিবেদন প্রকাশের পর মঙ্গলবার এক সভায় তিনি এনিয়ে কথা বলেন।

বঙ্গবন্ধুর জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস উপলক্ষে ওই আলোচনা সভায় বক্তব্যের শুরুতে হাসিনা ২০০১ সালে অষ্টম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর আওয়ামী লীগসহ সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ওপর হামলার কথা তুলে ধরেন।

এর পর তিনি বলেন, “তখন তাদের মুখে কূলুপ আঁটা ছিল। তাদের চেতনাটা তখন অসাড় হয়ে গিয়েছিল। জ্ঞান-বুদ্ধি লোপ পেয়ে গিয়েছিল।

“তাদের জ্ঞান-বুদ্ধি তখনি খোলে যখন আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসে, যখন দেশের মানুষ ভালো থাকে, দেশের মানুষ শান্তিতে থাকে।”

বিএনপির বয়কটের মধ্যে দশম সংসদ নির্বাচনে নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে টানা দ্বিতীয়বার সরকার গঠন করে আওয়ামী লীগ।

দশম সংসদে জাতীয় পার্টি প্রধান বিরোধী দলের আসনে বসলেও তাদের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে টিআইবি, যারা নবম সংসদ নিয়ে পর্যবেক্ষণ তুলে ধরে মঙ্গলবার একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে।

নবম সংসদের বিরোধীদলীয় নেতা খালেদা জিয়ার অধিবেশনে অনুপস্থিতির কথা তুলে ধরে সংসদ নেতা হাসিনা বলেন, “৪১৮ দিন পার্লামেন্ট হয়েছে, উনি আট দিন বা দশ দিন পার্লামেন্টে ছিলেন।

“যে বিরোধীদলীয় নেত্রী পার্লামেন্টে ছিল না, যে বিরোধী দল পার্লামেন্টেই বসে নাই- তাদের জন্য কিছু শ্রেণির যে মায়াকান্না!”

“তাদের জঙ্গিবাদই পছন্দ। তাদের (বিএনপি-জামায়াত) ক্ষমতায় আনার জন্য কত রিপোর্ট, তারা যে কত পরামর্শ দেয়।”

টিআইবির প্রতিবেদনে খালেদার মাত্র ২ দশমিক ৩৯ শতাংশ সময় সংসদে উপস্থিতি থেকে সর্র্বনিম্ন উপস্থিতির নতুন রেকর্ড গড়ার কথা বলা হয়। তাদের হিসাবে, বিএনপির সংসদ বর্জনের অর্থমূল্য ছিল প্রায় ৪ কোটি ৮৭ লাখ টাকা।

বিএনপিবিহীন সংসদ নিয়ে এগিয়ে যাওয়ার ইঙ্গিত দিয়ে হাসিনা বলেন, “যে যাই বলুক না কেন, দেশের মানুষের কল্যাণ কিসে হয়, এটা আমাদের ভালোই জানা আছে।”

দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পূর্ববর্তী ঘটনা উল্লেখ করে তিনি বলেন, “এবারো নির্বাচনের সময় একই ষড়যন্ত্র। নির্বাচন করা যাবে না। শপথ নেয়া যাবে না। সেই ৭০-এর মতো ঘটনা।”

বাকশালের অবসান ঘটিয়ে জিয়াউর রহমান দেশে বহুদলীয় গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করেন বলে বিএনপি যে দাবি করে, তার জবাবও দেন আওয়ামী লীগ সভানেত্রী হাসিনা।

“অনেকে বলেন, ‘জিয়া গণতন্ত্র দিয়েছিল’। ’৭৬ থেকে ’৭৯ পর্যন্ত রাত ৯টা থেকে ভোর ৬টা পর্যন্ত কারফিউ দিয়ে দেশ চালিয়েছে। নামে মুক্তিযোদ্ধা হয়েও তার অবস্থান ছিল স্বাধীনতার বিরুদ্ধে।”