রইলো বাকি ১৪৬

একদিন আগে একক প্রার্থীর সংখ্যা ১৫১ জনের কথা বলা হলেও শেষ পর্যন্ত যোগ হয়েছে আরো তিন জন। ফলে বাকি ১৪৬ আসনে ভোট হবে ব্যালটে।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 15 Dec 2013, 04:00 PM
Updated : 15 Dec 2013, 04:00 PM

প্রধান বিরোধী দল বিএনপির নির্বাচন বর্জন, জাতীয় পার্টির ‘এরশাদ-রওশন নাটক’ ও জামায়াতের নিবন্ধন অবৈধ থাকার মধ্যেই আগামী ৫ জানুয়ারি এই নির্বাচনের তারিখ রয়েছে।

রতিদ্বন্দ্বীহীন ১৫৪ জনের মধ্যে আওয়ামী লীগ ১২৭, জাতীয় পার্টি ২১, জেপি ১, জাসদ ৩, ওয়ার্কার্স পার্টির ২ প্রার্থী রয়েছেন।

ইসি সচিবালয়ের জনসংযোগ শাখা থেকে রোববার সরবরাহ করা বিনা প্রতিদ্বনন্দ্বী জাতীয় পার্টির  তিন প্রার্থী হলেন- ময়মনসিংহ-৮ ফখরুল ইমাম, রংপুর-১ মশিউর রহমান রাঙ্গা ও নীলফামারী-৪ শওকত চৌধুরী।

রিটার্নিং কর্মকর্তারা এ বিষয়ে গণবিজ্ঞপ্তি জারি করে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বীদের নির্বাচিত ঘোষণা করে থাকেন।

এর আগে নবম সংসদ নির্বাচনে মহজোটের আওয়ামী লীগ ২৩০ আসনে জয়ী হয়। শরিক জাতীয় পার্টি ২৭, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জাসদ ৩, ওয়ার্কার্স পার্টি ২। আর বিএনপি পেয়েছিল ৩০টি, তাদের শরিক জামায়াত ২, বিজেপি একটি আসন।

২০০৮ সালের ২৯ ডিসেম্বর অনষ্ঠেয় ওই নির্বাচনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় কেউ নির্বাচিত হয়নি।

নবম সংসদের বিএনপির [বিজেপিসহ] যেসব আসন এবার আওয়ামী লীগের ঘরে যাচ্ছে তার মধ্যে রয়েছে- জয়পুরহাট-১, ২, সিরাজগঞ্জ-২, ভোলা-১, বরিশাল-৫, চাঁদপুর-৪, ফেনী-২, নোয়াখালী-১, ২, ৩, লক্ষ্মীপুর-৩, কক্সবাজার-৩।

জাতীয় পার্টি পাচ্ছে- বগুড়া ২, ৩, ৬, কুমিল্লা-২, লক্ষ্মীপুর-২, কক্সবাজার-১। আর জাসদ পেতে যাচ্ছে খালেদা জিয়ার ফেনী-১ আসনটি।

একক প্রার্থী থাকায় গত সংসদে জাতীয় পার্টির কয়েকটি আসনও আওয়ামী লীগ পেতে যাচ্ছে। এগুলো হলো- লালমনিরহাট-২, রংপুর-২, নাটোর-১, সাতক্ষীরা-৪, মানিকগঞ্জ-২।

অন্যদিকে নবম সংসদে আওয়ামী লীগের পাওয়া কয়েকটি আসনে প্রার্থী না থাকায় জাতীয় পার্টি ও জেপি পাচ্ছে- নীলফামারী-৪, ময়মনসিংহ-৪, ৫, পিরোজপুর-২ [জেপি], ময়মনসিংহ-৮ [জেপি], নারায়ণগঞ্জ-৩, হবিগঞ্জ-১, সিলেট-৫, কুমিল্লা-৮, চট্টগ্রাম-৫।

এছাড়া জাসদ ও ওয়ার্কার্স পার্টি নবম সংসদে পাওয়া আসনগুলো এবার পাচ্ছে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায়।

নবম সংসদে বিজয়ী জাসদের চট্টগ্রাম-৭ এবং জামায়াতের চট্টগ্রাম-১৪ ও কক্সবাজার-২ আসন এবার বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায়ই আওয়ামী লীগের ঘরে যাচ্ছে।

বর্তমানে মোট প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর [যারা প্রতীক পেয়েছেন] সংখ্যা ৫৪১ জন। এরমধ্যে ১৫৪ জন একক প্রার্থী হিসাবে নির্বাচিত হতে যাচ্ছেন। তার মানে বাকি ১৪৬ আসনে লড়বেন ৩৮৭ প্রার্থী।

জাতীয় পার্টি-জেপির এখন প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৩২ জন, যাদের মধ্যে দুই জন একক প্রার্থী। আওয়ামী লীগের প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী ২৪৬ জন। এরমধ্যে ১২৭ আসনে একক প্রার্থী হওয়ায় বাকি ১১৯ জনকে ভোটযুদ্ধে নামতে হবে।

গণতন্ত্রী পার্টির ১ ও বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টির ৭ জনকে লড়তে হবে ভোটে।

এছাড়া বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির ১৯ জনের মধ্যে দুই জন বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হওয়ার পথে। জাতীয় পার্টির ৮৪ জন প্রার্থীর মধ্যে ২০ জন একক প্রার্থী। বাকি ৬৪ প্রার্থীর সুরাহা হবে ভোটে।

অন্যদিকে জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জাসদের ২৫ জন প্রার্থী রয়েছেন। দলটির ৩ জন ইতোমধ্যে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী হিসাবে ঘোষণার অপেক্ষায়।

গণফ্রন্ট,  তরিকত ফেডারেশন, বাংলাদেশ মুসলীম লীগ, বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি-বাংলাদেশ ন্যাপ, বাংলাদেশ জাতীয় পার্টি, ইসলামিক ফ্রন্ট বাংলাদেশ, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস, বাংলাদেশ, বাংলাদেশ ন্যাশনালিস্ট ফ্রন্ট-বিএনএফের প্রার্থী ছাড়াও স্বতন্ত্র রয়েছে ৯৯ জন।