Published : 01 Aug 2013, 05:22 PM
বৃহস্পতিবার দুপুরে সচিবালয়ে সংবাদ সম্মেলনে আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক হাছান মাহমুদ বলেন, “আমরা লক্ষ্য করেছি বিএনপির যারা সাধারণ সম্পাদক হন তারা ক্রমাগতভাবে অসত্য কথা বলেন। একটি হাদিস আছে, যদি কেউ অসত্য কথা বলে তাহলে তার আয়ু কমে যায়।
“আমরা দেখেছি বিএনপির সমস্ত মহাসচিব অকালে মৃত্যুবরণ করেছেন। এর সঙ্গে ক্রমাগত অসত্য বলার কোনো যোগসূত্র আছে কিনা সেটি ভাববার বিষয়। তবে অতীতের মহাসচিবদের মতো তার (মির্জা ফখরুল) পরিণতি যেন না হয় সেটি আল্লার কাছে প্রার্থনা।”
এ সময় জয়কে উপদেশ দেয়ার বদলে নিজেদের ভাষা ব্যবহারে সংযত হওয়ার আহ্বান জানান হাছান।
হাছান মাহমুদ বলেন, “বিএনপির যে সমস্ত মহিলা সদস্য ও নেতারা সংসদে ও সংসদের বাইরে যে ভাষায় কথা বলেন সে ভাষা কোনো ভদ্রলোক ব্যবহার করতে পারেন না।”
“যারা এ রকম অসংলগ্ন ও অসভ্য ভাষায় কথা বলতে অভ্যস্ত তাদের কাছ থেকে কারো ভদ্রতা শেখার প্রয়োজন নেই। তাদের আমি শালীন ভাষায় কথা বলার অনুরোধ জানাব। একইসঙ্গে মিথ্যা ও অসত্য কথা না বলার অনুরোধ জানব।”
বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার সামনে দলের নেতারা সংসদে অসভ্য ভাষায় কথা বললেও তিনি তাদের নিবৃত না করে পুলকিত হয়েছেন বলেও মন্তব্য করেন পরিবেশমন্ত্রী।
জয়কে নিয়ে বক্তব্য দেয়ার আগে বিএনপি নেতাদের খোঁজখবর নিয়ে কথা বলার অনুরোধ জানিয়ে হাছান মাহমুদ বলেন, ২০১০ সালে আওয়ামী লীগের প্রাথমিক সদস্যপদ নেয়ার মধ্য দিয়ে জয়ের রাজনীতিতে অভিষেক হয়েছে।
‘আপাতত সেটিই সঠিক’
এদিকে যুবলীগ নেতা রিয়াজুল হক মিল্কি হত্যাকারী হিসেবে ‘চিহ্নিত’ এইচ এম জাহিদ সিদ্দিক তারেকের ক্রসফায়ারে নিহত হওয়া নিয়ে মন্তব্য করেননি পরিবেশমন্ত্রী।
এ বিষয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ক্রসফায়ারে মৃত্যু নতুন ঘটনা নয়। র্যাব গঠিত হয়েছিল বিএনপি নেতৃত্বাধীন চারদলীয় জোট সরকারের সময়। তারা অত্যন্ত দক্ষতার সঙ্গে সন্ত্রাস দমনে কাজ করে যাচ্ছে।
“র্যাবের পক্ষ থেকে যে ব্যাখ্যা দেয়া হয়েছে, এই পর্যায়ে আমার পক্ষ থেকে এর চেয়ে বেশি কিছু বলা সম্ভব নয়।”
“র্যাবের পক্ষ থেকে যে ব্যাখ্যা দেয়া হয়েছে আমি আপাতত সেটিকেই সঠিক বলে মনে করছি। এর বিস্তারিত ব্যাখ্যা জানতে হলে তা র্যাব বা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে করতে হবে।”