আর মন্ত্রী ‘হবেন না’ মুহিত

এখনই রাজনীতি ছাড়ছেন না; তবে আগামীতে আর মন্ত্রী হওয়ার ইচ্ছা নেই বলে জানিয়েছেন আবুল মাল আবদুল মুহিত।    

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 30 March 2013, 06:16 AM
Updated : 11 May 2017, 10:26 AM

শনিবার সম্পাদকদের সঙ্গে এক মত বিনিময় সভায় তিনি বলেন, “মন্ত্রী হিসাবে আমার যে দায়িত্ব তাতে দিনে কমপক্ষে ১৬ ঘণ্টা কাজ করতে হয়। আগে আমি ১৬ ঘণ্টাই কাজ করতে পারতাম। এখন আমি ১২ ঘণ্টার বেশি পারি না। মূলত এ কারণেই আমি পরবর্তীতে মন্ত্রিত্ব থেকে বিরত থাকতে চাই।”

তবে আগামী জাতীয় নির্বাচনেও অংশগ্রহণ করার ইচ্ছা আছে বলে জানান এই রাজনীতিবিদ। 

গত নির্বাচনে সিলেট-১ আসন থেকে নির্বাচনে জয়ী হওয়ার পর অর্থমন্ত্রীর দায়িত্ব নেন আওয়ামী লীগ নেতা মুহিত। বাংলাদেশের নির্বাচনী ইতিহাস বলছে, ওই আসনে যে দল জয় পায়, সেই দলই সরকার গঠন করে।    

আগামী ৬ অক্টোবর ৭৯ বছর পূর্ণ করবেন মুহিত। ১৯৮২-৮৩ সালে এইচ এম এরশাদের সরকারের সময়েও প্রায় ২০ মাস অর্থমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন তিনি।

সেই দিনগুলোর কথা স্মরণ করে মুহিত বলেন, সে সময় তিনি এখনকার তুলনায় বেশি ‘শক্তিশালী’ ছিলেন।   

“তখন কেবল জেনারেল এরশাদকে রাজি করালেই চলতো। আর এখন একটা গণতান্ত্রিক কাঠামোর ভেতরে আমাকে ১০-১২ জনের সমর্থন পেতে হয়।” 

১৯৮২ সালের ২৪ মার্চ দেশে সামরিক আইন জারির পর প্রধান সামরিক আইন প্রশাসক হিসাবে সরকারের দায়িত্ব নেন তখনকার সেনাপ্রধান এরশাদ।  

সচিবের দায়িত্ব থেকে স্বেচ্ছা অবসরে যাওয়া মুহিত সেই সরকারের মন্ত্রিসভায় যোগ দেন। তখন তার বয়স ৫০ বছরও পূর্ণ হয়নি।

একাত্তরে ওয়াশিংটনে পাকিস্তান দূতাবাসের ইকোনমিক অ্যাফেয়ার্স মিনিস্টারের দায়িত্বে থাকা মুহিত বাংলাদেশের স্বাধীনতার পক্ষে জনমত সংগ্রহেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন।     

১৯৫৫ সালে স্নাতকোত্তর শেষ করে পরের বছরই সরকারি চাকরিতে যোগ দিয়েছিলেন তিনি। 

পরে অক্সফোর্ড ও হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়েও উচ্চতর শিক্ষা নেন মুহিত। ১৯৭২ সালে ৩৭ বছর বয়সে তিনি সচিব পদে উন্নীত হন এবং পরিকল্পনা ও বহিঃসম্পদ বিভাগের দায়িত্ব পালন করেন। 

এরশাদের সময়ে মন্ত্রিসভা ছাড়ার পর ১৯৮৪-৮৫ সালে যুক্তরাষ্ট্রের প্রিন্সটন বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকতাও করেন মুহিত। 

এ পর্যন্ত তার ২১টি বই প্রকাশিত হয়েছে, যার মধ্যে প্রশাসন ও বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে লেখাও রয়েছে।