খালেদার দাবি এখন ৯১ (ই) স্থগিতের

রাজনৈতিক দলগুলোকে হয়রানি করাই গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশের ৯১ এর (ই) ধারাটির লক্ষ্য এ অভিযোগ করে এবারের নির্বাচনের আগে এটি 'অন্তত' স্থগিত করার দাবি জানিয়েছেন বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়া। (আরো তথ্যসহ)

বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 23 Nov 2008, 09:39 AM
Updated : 23 Nov 2008, 09:39 AM
ঢাকা, নভেম্বর ২৩ (বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম)- রাজনৈতিক দলগুলোকে হয়রানি করাই গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশের ৯১ এর (ই) ধারাটির লক্ষ্য এ অভিযোগ করে এবারের নির্বাচনের আগে এটি 'অন্তত' স্থগিত করার দাবি জানিয়েছেন বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়া।
নির্বাচন কমিশন তৃতীয়বারের মতো সংশোধিত তফসিল ঘোষণার পর রোববার রাতে এক ব্রিফিংয়ে খালেদা জরুরি অবস্থা পুরোপুরি তুলে নেওয়ার দাবি পুনর্ব্যক্ত করেন। তবে একইসঙ্গে নির্বাচনের নতুন সময়সূচিকে স্বাগতও জানিয়েছেন তিনি।
খালেদা জিয়া তার গুলশানের কার্যালয়ে এক যোগদান অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন।
অবিলম্বে 'পরিবেশ সৃষ্টি করে' নির্বাচন দেওয়া উচিত এ দাবি করে নতুন সময়সূচিকে স্বাগত জানালেও অবশ্য চার দল সরকারের বর্তমান প্রস্তাবের আওতায় আসন্ন নির্বাচনে অংশ নেবে কি না- সে বিষয়ে সরাসরি কিছু বলেননি খালেদা জিয়া।
নির্বাচনের নতুন সময়সূচি সম্পর্কে খালেদা জিয়া বলেন, "নির্বাচন কমিশন নির্বাচনের যে তারিখ ঘোষণা করেছে তাকে আমি স্বাগত জানাই।"
বিএনপি চেয়ারপারসন বলেন, "নির্বাচন কমিশন যদি আরপিও'র (গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ) ৯১ এর (ই) ধারা পুরোপুরি বাতিল করতে না পরে তাহলে এটি অন্তত স্থগিত করা হোক। পরবর্তীতে সংসদ গঠিত হলে আলাপ আলোচনা করে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া যাবে।"
খালেদা জিয়া এর আগে নির্বাচনে যোগ দেওয়ার শর্ত হিসেবে আরপিও'র ওই ধারা পুরোপুরি বাতিলসহ চার দফা দাবি জানিয়েছিলেন। ৯১ এর (ই) ধারায় নির্বাচন কমিশনকে প্রার্থিতা বাতিলের ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে।
দৃশ্যত আরপিও'র (গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ) ৯১ এর (ই) ধারা স্থগিতের অর্থ হচ্ছে আসন্ন নির্বাচনে তা প্রয়োগের মাধ্যমে বিধিভঙ্গ করলেও কারো প্রাথিতা বাতিল করতে পারবেনা নির্বাচন কমিশন।
মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের দিন থেকে জরুরি অবস্থা পুরোপুরি প্রত্যাহারের জন্য আবারো জোর দাবি জানিয়েছেন খালেদা।
তিনি বলেন, "গত সিটি করপোরেশন নির্বাচনে প্রমাণ হয়েছে যে জরুরি অবস্থার মধ্যে গ্রহণযোগ্য নির্বাচন হতে পারে না। সরকার অবিলম্বে জরুরি অবস্থা তুলে নেওয়ার ঘোষণা দিলে সবাই স্বস্তি পাবে।"
খালেদা বলেন, "নির্বাচনের সুষ্ঠু পরিবেশ না থাকার কারণ দেখিয়ে ২০০৭ এর ২২ জানুয়ারি নির্বাচন হতে দেওয়া হয়নি। এবার বর্তমান সরকারের কারণে পরিবেশ নষ্ট হলে এ সরকারও সেই দোষে দুষ্ট হবে।"
কালবিলম্ব না করে সবার অংশগ্রহণে নির্বাচন অনুষ্ঠানের পরিবেশ সৃষ্টির জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।
দেশ দু বছর গণতন্ত্রবিহীন ছিল- উল্লেখ করে খালেদা বলেন, "এদেশের মানুষ নির্বাচন চায়, গণতন্ত্র চায়। আমরাও তাই চাই।"
এ অনুষ্ঠানের মাধ্যমে প্রগতিশীল গণতান্ত্রিক দলের (পিডিপি) নেতা শরফুদ্দীন আহমেদ সান্টু ও সুপ্রিমকোর্ট আইনজীবী সমিতির নেতা অ্যাডভোকেট খন্দকার মাহাবুব হোসেন তাদের একদল কর্মী-সমর্থকসহ বিএনপিতে যোগ দেন।
খালেদা জিয়া তাদের অভিনন্দন জানিয়ে বলেন, "সবাই মিলেমিশে দলকে আরও শক্তিশালী করার জন্য কাজ করুন।"
যোগদান অনুষ্ঠানে সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে সান্টু বলেন, "আমি একসময় বিএনপিতে ছিলাম। মাঝের ১৩/১৪ বছর আমাকে বনবাসে পাঠানো হয়েছিল। আমি আবার বিএনপিতে ফিরে এসেছি। বিএনপির জন্যই কাজ করব।"
সান্টু বরিশাল ও খন্দকার মাহাবুব বরগুনা থেকে বিএনপির মনোনয়ন চান। স