বুধবার বিকালে প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে এম নূরুল হুদা নেতৃত্বাধীন ইসির সঙ্গে দলটির সংলাপে ২২ দফা প্রস্তাব তুলে ধরেন গণফোরাম সভাপতি কামাল হোসেন।
দলটির ১০ সদস্যের প্রতিনিধি দল সংলাপে অংশ নেন।
দুই ঘণ্টাব্যাপী মতবিনিময় শেষে কামাল হোসেন সাংবাদিকদের বলেন, “সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য সংবিধান অনুযায়ী নির্বাচনকালীন যে সরকার ও প্রশাসন থাকবে তাদের নিরপেক্ষ থাকতে হবে। আমরা কমিশনকে বলেছি- যেন আইনের সঠিক প্রয়োগ ও নিরপেক্ষতা নিশ্চিত করা হয়।”
সুষ্ঠু ভোটে আয়োজনে ‘মানি পাওয়ার’ ও ‘মাসল পাওয়ার’- এই দুটিকে অন্যতম বাধা হিসেবে উল্লেখ করেন কামাল হোসেন।
কমিশন গণফোরামের কথা গুরুত্ব দিয়ে শুনেছে ও প্রশংসা করেছে বলে জানান কামাল হোসেন।
তিনি জানান, প্রশাসনকে কীভাবে নিরপেক্ষভাবে পরিচালনা করা হবে, তা আলোচনা করেই নির্ধারণ করতে হবে। এ বিষয়ে পরবর্তীতেও কথা হবে। প্রশাসনকে হস্তক্ষেপমুক্ত রাখতে হবে।
দলটির ২২ দফা দাবির অন্যতম হচ্ছে- প্রবাসীদের ভোটাধিকার, নির্বাচনী ট্রাইব্যুনালের মামলা ছয় মাসের মধ্যে নিষ্পত্তি, কালো টাকার খেলা বন্ধ, ঋণ খেলাপিদের জামিনদারকে নির্বাচনে অযোগ্য, নির্বাচনে ধর্মের অপব্যবহার বন্ধ, আইন শৃঙ্খলাবাহিনীর সংজ্ঞায় সশস্ত্রবাহিনীকে যুক্ত করা ও সংরক্ষিত মহিলা আসনে সরাসরি নির্বাচনের ব্যবস্থা করা।
ভোটে সেনাবাহিনী মোতায়েন চান কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, “আইনি সংজ্ঞায় রাখতে বলেছি আমরা। তবে যখনই প্রয়োজন হবে তখনই সেনা মোতায়েন করতে হবে। সশস্ত্রবাহিনী ইসির নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে।”