আমরা তো প্রধান বিচারপতির দরজায় ধাক্কা দিইনি: কাদের

প্রধান বিচারপতির সঙ্গে দেখা করার সমালোচনাকারী বিএনপি নেতাদের তাদের আমলে বিচারাঙ্গনের প্রধান ব্যক্তির দরজা ভাংচুরের কথা মনে করিয়ে দিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।

তিনি মঙ্গলবার এক আলোচনা অনুষ্ঠানে বলেছেন, “মির্জা ফখরুল সাহেব, মওদুদ সাহেব, রায় পক্ষে না যাওয়ায় আপনারা প্রধান বিচারপতির দরজায় লাথি মেরেছিলেন, এই অপমান আমরা করিনি, করব না।”

সংবিধানের ষোড়শ সংশোধন বাতিলের রায় গত ১ অগাস্ট সুপ্রিম কোর্ট প্রকাশের পর থেকে ক্ষোভ দেখাচ্ছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ।

রায়ের বিষয়ে নিজেদের অবস্থান তুলে ধরতে ওবায়দুল কাদের প্রধান বিচারপতির সঙ্গে দেখা করে আসার পর বিএনপি অভিযোগ তোলে, বিচার বিভাগের উপর চাপ দিচ্ছে ক্ষমতাসীনরা।

বাংলা একাডেমিতে ছাত্রলীগের আলোচনা সভায় ওবায়দুল কাদের ওই প্রসঙ্গ তুলে আরও বলেন, “আজকে সুপ্রিম কোর্টের রায়ের পর ফখরুল সাহেব, মওদুদ সাহেব যেভাবে বক্তব্য দিচ্ছেন; মনে হচ্ছে তারাই প্রধান বিচারপতির মুখপাত্র।”

নোয়াখালীর সংসদীয় আসনে নিজের প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী মওদুদ আহমেদ সম্পর্কে তার দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে সতর্ক থাকার পরামর্শও দেন কাদের।

“এই ভুল করবেন না মির্জা ফখরুল ইসলাম সাহেব, মওদুদ সাহেবের কথায় পা বাড়াবেন না, বিএনপির অস্তিত্ব হুমকির মুখে পড়বে।”

উচ্চ আদালতের রায় নিয়ে বিএনপি ‘অশুভ খেলা’ শুরু করেছে বলেও দাবি করেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক।

“আপনাদের (ফখরুল, মওদুদ) বলতে চাই বাংলাদেশ বাংলাদেশই থাকবে, আপনাদের স্বপ্নের পাকিস্তান হবে না।”

ষড়যন্ত্র মোকাবেলায় দলের নেতাকর্মীদের প্রস্তুতি নেওয়ার পরামর্শ দিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, “সামনে তুফান আসছে, ভারি তুফান। সেই তুফান পাড়ি দিতে হলে সকল নেতাকর্মীদের এখন থেকে রাজনৈতিক, সাংগঠনিক ও মানসিকভাবে প্রস্তুত থাকতে হবে।”

ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের উদ্দেশ করে  আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক  খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেন, “এই ষড়যন্ত্রকে মোকাবেলা করতে হবে। সকল ষড়যন্ত্র মোকাবেলায় অতীতের মতো ছাত্রলীগকে এগিয়ে আসতে হবে।”

আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক নজরুল ইসলাম বাবু, সাবেক সভাপতি বদিউজ্জামান সোহাগ, বর্তমান সাধারণ সম্পাদক এস এম জাকির হোসেন।