শুক্রবার এক সংবাদ সম্মেলনে দলটির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেন, এ ঘটনায় ‘ব্যক্তিগত আক্রোশের বহিঃপ্রকাশ’ ঘটেছে।
“এ ধরনের আন্তর্জাতিক সম্মেলনে বাধা দেওয়া স্বৈরতন্ত্রেরই হিংস্র রূপ। আমি বিএনপির পক্ষ থেকে এ ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।”
শুক্রবার সকালে সাভারের জিরাবোতে সামাজিক কনভেনশন সেন্টারে নোবেলজয়ী অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের দুই দিনব্যাপী এই আন্তর্জাতিক সম্মেলনের উদ্বোধন করার কথা ছিল। মূল বক্তা হিসেবে তাতে উপস্থিত থাকার কথা ছিল জাতিসংঘের সহকারী মহাসচিব টমাস গাসের।
কিন্তু পুলিশের অনুমতি না মেলায় বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ইউনুস সেন্টার এক বিবৃতিতে সম্মেলন বাতিলের কথা জানায়।
তার আগে পুলিশ মহাপরিদর্শক একেএম শহীদুল হক সাংবাদিকদের বলেন, ইউনূস সেন্টারের আবেদন তারা হাতে পেয়েছেন ২৩ জুলাই। এত অল্প সময়ে প্রস্তুতি ছাড়া এত বড় আয়োজনের অনুমতি দেওয়া পুলিশের পক্ষে সম্ভব নয়।
মূল সম্মেলন বাতিল হলেও ইতোমধ্যে ঢাকায় চলে আসা অতিথিদের নিয়ে শুক্রবার সকালে একটি অনুষ্ঠানে মিলিত হয়েছে ইউনূস সেন্টার। ঢাকার একটি হোটেল থেকে ওই অনুষ্ঠান তারা ফেইসবুকে লাইভও করছে।
সরকারের সমালোচনা করে রিজভী বলেন, আন্তর্জাতিক সম্মেলনের অনুমতি না দেওয়ায় এই সিদ্ধান্ত মঙ্গল বয়ে আনবে না।
“বিশ্বে বাংলাদেশ সম্পর্কে নেতিবাচক ধারণা এমনিতেই আছে, এর ফলে তা আরও গভীর হবে বলে আমরা মনে করি।”
রিজভী অভিযোগ করেন, ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির ‘ভোটারবিহীন একতরফা’ নির্বাচনের পর থেকে সরকারি দল ও তাদের মিত্ররা ছাড়া কাউকে প্রকাশ্যে সভা-সমাবেশের অনুমতি দেওয়া হয় না। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ঘরোয়া অনুষ্ঠানেও বাধা দেয়।
নয়া পল্টনের বিএনপি কার্যালয়ে এই সংবাদ সম্মেলনে দলের যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, খায়রুল কবির খোকন, আইন বিষয়ক সম্পাদক সানাউল্লাহ মিয়া, আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিষয়ক সম্পাদক মাসুদ আহমেদ তালুকদার উপস্থিত ছিলেন।