গাড়িবহরে হামলা প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে: বিএনপি

প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশেই চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়ায় দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের গাড়িবহরে হামলা হয়েছে বলে অভিযোগ করেছে বিএনপি।

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 20 June 2017, 08:17 AM
Updated : 20 June 2017, 08:40 AM

মঙ্গলবার সকালে এক মানববন্ধনে দলের জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী এই অভিযোগ করেন।

তিনি বলেন, “আমরা বলতে চাই, ওই হামলার ঘটনা পূর্ব পরিকল্পিত। এটা আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতৃবৃন্দ এবং সবার শীর্ষে যিনি, প্রধানমন্ত্রী তারই নির্দেশে হাসান মাহমুদ বিএনপি মহাসচিবের গাড়িবহরে হামলা করেছে। এটা অবধারিত সত্য।

“আওয়ামী লীগ মনে করেছে, মহাসচিবের গাড়িবহরে হামলার মধ্য দিয়ে বিএনপি ভয় পেয়ে যাবে। তারা যেমন দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার গাড়িবহরে কাওরান বাজারে হামলা করেছিল, নারায়ণগঞ্জে হামলা করেছিল।”

পাহাড় ধসে ক্ষতিগ্রস্ত রাঙামাটি যাওয়ার পথে রোববার চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়ায় হামলার মুখে পড়ে বিএনপি মহাসচিবের গাড়িবহর। বিএনপি এজন্য আওয়ামী লীগের স্থানীয় সংসদ সদস্য হাছান মাহমুদকে দায়ী করেছেন।

বিএনপির অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করে হাছান মাহমুদ উল্টো গাড়িবহরে হামলার জন্য বিএনপির অভ্যন্তরীণ কোন্দলকে দায়ী করেছেন।

হাসান মাহমুদ ‘ডাহা মিথ্যা কথা’ বলেছেন মন্তব্য করে রিজভী বলেন, “আওয়ামী লীগ ও আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দরা হচ্ছেন প্রফেশনাল মিথ্যাবাদী, পেশাগত মিথ্যাবাদী এরা।”

জাতীয় প্রেস ক্লাবে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির উদ্যোগে যুব দলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সাঈদ হাসান মিন্টুর কারামুক্তির দাবিতে এই মানববন্ধন হয়।

কারাগারের বর্তমান অবস্থা তুলে ধরে বিএনপি জ্যেষ্ঠ মহাসচিব বলেন, কারাগারগুলো এখন ‘শেখ হাসিনার ব্যক্তিগত গ্যাস চেম্বার বা মৃত্যু চেম্বারে’ পরিণত হয়েছে। অপরাধীদের জন্য নয়, এই কারাগার হচ্ছে অন্যায় ও দুঃশাসনের বিরুদ্ধে যারা প্রতিবাদ করবে, তাদের ধরে ধরে ভরে ফেলার জন্য।

অবিলম্বে কারাবন্দি সাঈদ হাসান মিন্টু ও আমিনসহ নেতা-কর্মীদের মুক্তির দাবি জানান রিজভী।

বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব হাবিব উন নবী খান সোহেল, মহানগর দক্ষিণের সাধারণ সম্পাদক কাজী আবুল বাশার, নির্বাহী কমিটির সদস্য আবু নাসের মুহাম্মদ রহমাতুল্লাহ, সাবেক কমিশনার শহিদুল ইসলাম বাবু ও মহিলা দলের শামসুন্নাহার ভুঁইয়া এসময় বক্তব্য রাখেন।

জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে আরেক মানববন্ধনে বিএনপি চেয়ারপারনের উপদেষ্টা জয়নুল আবদিন ফারুক বলেন, “আমি আশা করেছিলাম, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী তদন্ত করার নির্দেশ দিয়ে দুই-চারজনকে গ্রেপ্তার হবে। আপনার (প্রধানমন্ত্রী) উচিত ছিল, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে নির্দেশ দেওয়ার। কিন্তু সেটা আপনি করেননি।

“তাই আপনার বক্তব্যের ওপর আমার আর বিশ্বাস নেই।”

অপরাজেয় বাংলাদেশ নামক সংগঠনের উদ্যোগে ফরিদা মনি শহীদুল্লাহর সভাপতিত্বে মানববন্ধনে চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য আবদুস সালামও বক্তব্য রাখেন।