রোববার ঢাকার ৩ নম্বর বিশেষ জজ আদালতের ভারপ্রাপ্ত বিচারক ইমরুল কায়েস আগামী ২৩ জুলাই শুনানির নতুন দিন রেখেছেন।
এ নিয়ে ষষ্ঠবারের মতো আলোচিত এ মামলার অভিযোগ গঠনের শুনানি পেছাল।
তিন আসামির বিরুদ্ধে মামলার কার্যক্রম এগিয়ে নেওয়ায় হাই কোর্টের স্থগিতাদেশ থাকায় নতুন এ তারিখ নির্ধারণ করা হয়।
হাই কোর্ট থেকে এ আদালতে আসার পর মামলাটির অভিযোগ গঠনের শুনানির দিন প্রথমে নির্ধারিত হয় গত বছরের ২৩ অক্টোবর।
নির্ধারিত তারিখে অভিযোগ গঠনের শুনানি না হওয়ায় পরে এ বছরের ৮ জানুয়ারি, ৫ ফেব্রুয়ারি, ৫ মার্চ, ৯ এপ্রিল ও ১৪ মে তারিখ ঠিক করা হলেও সবগুলো তারিখেই অভিযোগ গঠনের শুনানি পিছিয়ে যায়।
প্রয়াত মন্ত্রী আকবর হোসেনের ছেলে ইসমাইল হোসেন সায়মন ও তানভীর আহমেদ এবং গালিব হোসেনের পক্ষে হাই কোর্টের স্থগিতাদেশ থাকায় মামলাটিতে অভিযোগ গঠনের শুনানি নিতে পারছেন না বিচারক।
ব্যক্তিগত হাজিরা মওকুফ হওয়ায় রোববার খালেদা জিয়ার পক্ষে তার আইনজীবী সানাউল্লাহ মিয়া ‘বাই-এজেন্ট’ হাজিরা দেন।
জরুরি বিধিমালা সংযুক্ত এ মামলার অভিযোগপত্রের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে রিট আবেদন করে মামলা বাতিল চেয়ে আবেদন করেন খালেদা। রিট আবেদনের কারণে প্রায় আট বছর নিম্ন আদালতে মামলাটির বিচার কার্যক্রম বন্ধ ছিল।
রিট খারিজ করে উচ্চ আদালত গত বছরের ২৩ ফেব্রুয়ারি খালেদা জিয়াকে দুই মাসের মধ্যে আত্মসমর্পণের নির্দেশ দেন। উচ্চ আদালতের নির্দেশে গত বছরের ৫ এপ্রিল আত্মসমর্পণ করে জামিন পান খালেদা জিয়া।
২০০৭ সালের ২ সেপ্টেম্বর দুদকের উপ-পরিচালক মো. গোলাম শাহরিয়ার বাদী হয়ে ১৩ জনের বিরুদ্ধে তেজগাঁও থানায় এ মামলা করেন। তদন্ত শেষে ২০০৮ সালের ১৩ মে মোট ২৪ জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেন দুদকের উপ-পরিচালক মো. জহিরুল হুদা।