হাওরে বিপর্যয়: কারণ খুঁজতে গণতদন্ত কমিশন

হাওরের সাম্প্রতিক মহাবিপর্যয়ের কারণ ও স্থায়ী সমাধানের পথ খুঁজতে অধ্যাপক সিরাজুল ইসলাম চৌধুরীকে প্রধান করে একটি গণতদন্ত কমিশন গঠিত হয়েছে।

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 26 May 2017, 10:31 AM
Updated : 26 May 2017, 10:31 AM

শুক্রবার জাতীয় প্রেসক্লাবে ‘হাওরের পাশে বাংলাদেশ’ নামে একটি সংগঠনের সংবাদ সম্মেলনে ২৬ সদস্যের নাম প্রকাশ করেন গণতদন্ত কমিশনের সদস্য সচিব হাসনাত কাইয়ুম।

তিনি বলেন, “স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে দেশ-জাতি ও প্রকৃতির প্রতি দায়বোধ থেকে এই মহাবিপর্যয়ের প্রকৃত কারণ এবং হাওর সমস্যার স্থায়ী সমাধানের পথ ও পদ্ধতি অনুসন্ধান ও আবিষ্কারের লক্ষ্যে হাওরের পাশে বাংলাদেশ ২৬ সদস্যের গণতদন্ত কমিশন গঠন করেছে।

“এই কমিশন হাওর অঞ্চল সফর করে হাওরবাসীদের মতামত সংগ্রহ, পানি, মৎস, কৃষি, যোগাযোগ, শিক্ষা ও স্বাস্থ্য ব্যবস্থা বিষয়ক তথ্য-উপাত্ত ও গবেষণাকর্ম পর্যালোচনা করবে। সরকারি-বেসরকারি উন্নয়ন নীতি ও কর্মকাণ্ড বিশ্লেষণ করে দেশে ও দেশের বাইরে অবস্থানরত সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞদের মতামত সংগ্রহ করবে।”

কমিশনের বাকি সদস্যরা হলেন- স্বপন আদনান, আনু মুহাম্মদ, বদরুল ইমাম, খালেকুজ্জামান, রিজওয়ানা হাসান, হালিম দাদ খান, অধ্যাপক হারুন রশীদ, শাকিল আখতার, সৈয়দ আলী আজহার, পাভেল পার্থ, আনোয়ারুল ইসলাম, আবদুল্লাহ আল মামুন, আবদুল মতিন, শেখ রোকন, মোশাহিদা সুলতানা রীতু, জাকিয়া শিশির, সাদিয়া জেরীন পিয়া, জ্যোতির্ময় বড়ুয়া, আবুল হোসেন রুবেল, জাকির হোসেন, কফিল আহমেদ, অরুপ রাহী, ফিরোজ আহমেদ, ক্বাফি রতন, আবদুল্লাহ শাহরিয়ার সাগর ও জহিরুল ইসলাম।

নদী, পানি, প্রকৃতি সংশ্লিষ্ট দেশীয় এবং আন্তর্জাতিক আইন ও রীতি পর্যবেক্ষণ করা ছাড়াও কমিশন এসবের আলোকে হাওর সমস্যার স্থায়ী সমাধানের রূপরেখা দেশবাসীর বিবেচনার জন্য তুলে ধরবে বলেও জানান হাসনাত কাইয়ুম।

“হাওরবাসীদের ন্যায়সঙ্গত দাবি-দাওয়া আদায়ের সকল সংগ্রামে হাওরের পাশে বাংলাদেশ এবং গণতদন্ত কমিশন সক্রিয় ভূমিকা পালন করতে অঙ্গীকারাবদ্ধ।”

আনু মুহাম্মদ বলেন, “এই কমিশন গঠন করতে পেরে আমরা আনন্দিত। উন্নয়নের ধরণ কি হওয়া উচিত এই কমিশন সে বিষয়ে কাজ করবে।”

মোট ধানের ১৮ শতাংশ হাওর এলাকা থেকে আসে জানিয়ে সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, প্রাকৃতিক মৎস্যক্ষেত্র থেকে আসা মাছের মধ্যে হাওরের অবদান সবচেয়ে বেশি।

বাংলাদেশে ৩৭৪ থেকে ৪১১টি হাওর থাকার তথ্য তুলে ধরে সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, এবার হাওরের জমিতে ৩০ লাখ মেট্রিক টন চাল উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে বোরো ধান চাষ করা হলেও ঢলের পানিতে ৮০ শতাংশ ধান তলিয়ে গেছে, যার মূল্য ৫ হাজার কোটি টাকারও বেশি।

প্রকৌশলী ম. ইনামুল হক, জ্যোতির্ময় বড়ুয়া, স্বপন আদনান, রিজওয়ানা হাসান সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন। সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেন অধ্যাপক সিরাজুল ইসলাম।