রোববার রাজধানীর ধানমণ্ডির প্রিয়াঙ্কা কমিউনিটি সেন্টারে দলের দপ্তর বিভাগের এক সভায় একথা বলেন তিনি।
ওবায়দুল কাদের বলেন, “এতদিন বিএনপি অফিসে কোনো ধরণের অভিযানের কোনো অভিযোগ তো ছিল না। হঠাৎ করে এটা কেন হল? এটা আমি মাননীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও আইজিপির সঙ্গে আলাপ করেছি। তারা আমাকে যেটা বলেছেন, তাদের কাছে কিছু গোয়েন্দা রিপোর্ট ছিল। তার ভিত্তিতে তারা এ অভিযান পরিচালনা করেছে।”
এর আগে সকালে এক সংবাদ সম্মেলনে খালেদা জিয়ার কার্যালয়ে তল্লাশির ঘটনাকে ‘আগ্রাসন’ ও ‘গণতন্ত্রের ন্যূনতম ভবিষ্যত বিনষ্ট করার পাঁয়তারা’ হিসেবে বর্ণনা করেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
বিএনপি মহাসচিবের বক্তব্যের জবাবে কাদের বলেন, “এখন এর সঙ্গে গণতন্ত্রের সম্পর্ক মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর আবিষ্কার করেছেন। তারা যখন ক্ষমতায় ছিলেন, তখন দফায় দফায় আমাদের পার্টি অফিসে হামলা চালিয়েছিলেন। আমাদের সেন্টার ফর রিসার্চ অ্যান্ড ইনফরমেশন (সিআরআই) সিলগালা করে দিয়েছেন।
“তাদের সময় আওয়ামী লীগ অফিসে শুধু অভিযানই হয়নি, নেতাকর্মীদের নির্যাতন করা হয়েছে, অফিসের দিকে লক্ষ্য করে বোমা হামলা হয়েছিল- এসব কি তারা ভুলে গেছে? তখন কি গণতন্ত্র সঠিক ছিল?”
শনিবার সকাল সাড়ে ৭টা থেকে দুই ঘণ্টা ধরে গুলশানে খালেদা জিয়ার কার্যালয়ে আকস্মিক অভিযানে যায় পুলিশ। আদালতের পরোয়ানা নিয়ে তল্লাশির কথা জানালেও শূন্য হাতেই ফিরে যায় তারা।
এই তল্লাশিকে বেআইনি অভিযোগ করে প্রতিবাদে বিএনপি রোববার ঢাকাসহ সারা দেশে বিক্ষোভ কর্মসূচি ঘোষণা করেছে। একই ইস্যুতে জাতীয়তবাদী যুবদল ও স্বেচ্ছাসেবক দলও ওইদিন বিক্ষোভ সমাবেশের আলাদা কর্মসূচি দিয়েছে।
সভায় নেতাদের সতর্ক করে দিয়ে কাদের বলেন, “দলীয় শৃঙ্খলা ও ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করলে কোনো প্রভাবশালী ব্যক্তিকেও ছাড় দেওয়া হবে না। ইতোমধ্যে পাবনা, সিরাজগঞ্জ ও চাঁদপুরের ঘটনায় কাউকে ছাড় দেইনি আমরা।”
“আপনাদের আচরণের কারণে জনগণ আওয়ামী লীগ সরকারের এত উন্নয়ন, এত অর্জনের পরও যদি ক্ষুব্ধ হয় তাহলে ভোটের রাজনীতিতে নেতিবাচক প্রভাব পড়বে। এ বিষয়ে সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে।”
সারা দেশে জেলা ও উপজেলায় আওয়ামী লীগের দলীয় কার্যালয় স্থাপনের তাগিদ দেন দলের সাধারণ সম্পাদক।
“নেত্রী চেয়েছেন, প্রতিটি জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে দলের একটা নিজস্ব কার্যালয় যেন থাকে। এ বিষয়টা আমাদের নিশ্চিত করতে হবে। যে সব জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে আওয়ামী লীগের নিজস্ব অফিস নেই, সে ব্যাপারে পদক্ষেপ নেওয়া হবে।”
অন্যদের মধ্যে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য আব্দুর রাজ্জাক, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক দীপু মনি, জাহাঙ্গীর কবির নানক, আব্দুর রহমান, সাংগঠনিক সম্পাদক আহমেদ হোসেন, আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, সাংস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদক অসীম কুমার উকিল, দপ্তর সম্পাদক আব্দুস সোবহান গোলাপ, উপ-দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া ও কার্যনির্বাহী সদস্য মারুফা আক্তার পপি সভায় উপস্থিত ছিলেন।