আ. লীগের হাতে কোনো ধর্মের মানুষ নিরাপদ নয়: খালেদা

আওয়ামী লীগের হাতে দেশের কোনো ধর্মের মানুষ নিরাপদ নয় বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া।

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 9 May 2017, 06:52 PM
Updated : 9 May 2017, 06:52 PM

বুদ্ধ পূর্ণিমা উপলক্ষে মঙ্গলবার রাতে বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, “দেশের কী অবস্থা! এখন কারো নিরাপত্তা নেই। আওয়ামী লীগের হাতে দেশ ও দেশের মানুষ নিরাপদ নয়।

“ওদের হাত থেকে দেশকে উদ্ধার করার জন্য প্রয়োজন গণতন্ত্র। গণতন্ত্র না থাকলে উন্নয়ন, জনগণের কল্যাণ হবে না। শুধু ওই দল ও এক ব্যক্তির কল্যাণ হবে।”

গণতন্ত্র ‘ফিরিয়ে আনতে’ বৌদ্ধ সম্প্রদায়কে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, “গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনতে হলে প্রয়োজন একটা সুষ্ঠু নিরপেক্ষ নির্বাচন, যে নির্বাচনে সব দলকে সমান সুযোগ দিতে হবে।”

গুলশানের কার্যালয়ে বিএনপির উদ্যোগে এই শুভেচ্ছা বিনিময় অনুষ্ঠানে চট্টগ্রামের পতেঙ্গা বৌদ্ধ বিহারের অধ্যক্ষ ভান্তে সুমঙ্গল ঘের, চন্দনাইশ বিহারের ভান্তে তিষ্য মিত্র, কমলাপুর বৌদ্ধ বিহারের বোধীপ্রিয় ভিক্ষু, জ্ঞানপ্রিয় ভিক্ষু, পদ্মা শুভ ভিক্ষু, সুনান্দ ভিক্ষু উপস্থিত ছিলেন। 

২০১২ সালে রামুতে বৌদ্ধ পল্লীতে হামলা ও অগ্নিসংযোগের দিকে ইঙ্গিত করে খালেদা জিয়া বলেন, “আপনাদের ওপর কী অত্যাচার হয়েছে! সেসব কারা করেছে সেটা আমরা জানি, আপনারাও জানেন।

“তারা কী করছে? মানুষের জায়গা-জমির দখল করে, লুটপাট করে। বিশেষ করে হিন্দু আছে, বৌদ্ধ আছে, খ্রিস্টান সম্প্রদায় আছে- তাদের সম্পত্তি জবর দখল করছে।”

আওয়ামী লীগের সমালোচনা করে বিএনপি প্রধান বলেন, “আওয়ামী লীগ আজকে কখনও বেশি মৌলবাদী হয়ে যায়, কখনও বেশি মুসলমান হয়ে যায়, কখনও অতি হিন্দু হয়ে যায়, কখনও বেশি বৌদ্ধ হয়ে যায়- আওয়ামী লীগ বহুরূপী। এই হলো আওয়ামী লীগের অবস্থা। কাজেই আপনারা বুঝতে পারছেন, ওদের হাতে দেশ ও দেশের মানুষ নিরাপদ নয়।”

অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে দলের সহ-ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক দীপেন দেওয়ানের সভাপতিত্বে দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য অধ্যাপক সুকোমল বড়ুয়া বক্তব্য রাখেন।

অনুষ্ঠানে দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য জমিরউদ্দিন সরকার, মির্জা আব্বাস, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, কেন্দ্রীয় নেতা আফরোজা আব্বাস, নুরী আরা সাফা, সমীরণ দেওয়ান, সদ্বীপ দেওয়ান, প্রদীপ চন্দ্র চাকমা, সুনীত তালুকদার প্রমুখ নেতৃবৃন্দ ছিলেন।