জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর ৯৭তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদে শুক্রবার এক আলোচনা সভায় এসব ঘটনার জন্য খালেদা জিয়াকে দায়ী করেছেন তিনি।
ওবায়দুল কাদের বলেন, “আমাদের নেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ডাকে আপনি সাড়া দেননি। গত নির্বাচনের আগে আপনাকে আমন্ত্রণ করেছিলেন আলোচনায় বসতে, আপনি আসেননি।
“তখন যদি প্রধানমন্ত্রীর ডাকে সাড়া দিতেন, তাহলে পেট্রোল বোমা দিয়ে মানুষ হত্যা করা এবং এর ধারাবাহিকতায় আজকে আশকোনায় ‘আত্মঘাতী’ বিস্ফোরণের প্রয়োজন হতো না।”
বিএনপিকে বাংলাদেশে ‘জঙ্গিবাদের প্রধান পৃষ্ঠপোষক’ আখ্যা দিয়ে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন,“আমরা এখনো হলি আর্টিজান-শোলাকিয়া থেকে বের হতে পারিনি। আজকে আশকোনায় যা হয়েছে, সেটা আরও ভয়াবহ।”
এঘটনার পর দেশের সব বিমানবন্দর ও কারাগারে সতর্কতা জারি করা হয়েছে।
বিএনপি বাংলাদেশের রাজনীতির পরিবেশ নষ্ট করেছে অভিযোগ করে কাদের বলেন, “এসব নেতিবাচক রাজনীতির ধারা পরিহার করে ইতিবাচক রাজনীতিতে আসুন। সামনের নির্বাচনের জন্য প্রস্তুতি নিন।”
আগামী নির্বাচনে বিএনপির ভরাডুবি হবে দাবি করে কাদের বলেন, “আলোচনা সংলাপের জন্য চিৎকার করে কোনো লাভ হবে না। তারা (বিএনপি) বুঝতে পেরেছে, আগামী নির্বাচনেও কোনো সুবিধা করতে পারবে না। তাই তারা এক এক সময় এক এক কথা বলছেন।
বাঙালী সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি চয়ন ইসলামের সভাপতিত্বে আরও উপস্থিত ছিলেন জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য হারুন-অর-রশিদ ও সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক শামীম আহমেদ।