শনিবার বেলা ১১টায় রাজধানীর কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ সম্মেলনের উদ্বোধন করবেন বলে কথা রয়েছে।
সম্মেলনের সব প্রস্তুতি ইতোমধ্যে শেষ হয়েছে বলে জানিয়েছেন সংগঠনের সভাপতি নাজমা আক্তার।
২০০২ সালে নাজমা আক্তারকে আহ্বায়ক করে যুব মহিলা লীগের ১০১ সদস্যের কমিটি দেওয়া হয়। দুই বছর পর ২০০৪ সালের ১৫ মার্চ প্রথম সম্মেলনের মাধ্যমে তাদের কমিটি হয়। সম্মেলনে নাজমা আক্তারকে সভাপতি ও অপু উকিলকে সাধারণ সম্পাদক করে কমিটি হয়।
নেতাকর্মীদের অনেকেই মনে করেন, দীর্ঘদিন নেতৃত্বে পরিবর্তন না আসায় যুব মহিলা লীগের কার্যক্রম ঝিমিয়ে পড়েছে।
সংগঠনের কেন্দ্রীয় এক নেত্রী বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “১৫ বছর ধরে উনারাই নেতা। তাহলে কীভাবে অন্যরা সংগঠন করব?”
তার ভাষায়, দল ঝিমিয়ে পড়ায় সাংগঠনিক কার্যক্রমেও স্বকীয়তা হারাতে বসেছে যুব মহিলা লীগ।
“আমরা আশা করছি, এই সম্মেলনে নতুন নেতৃত্ব আসবে, যারা দলকে এগিয়ে নেবেন।”
সারা দেশে যুব মহিলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক কার্যক্রম ‘দুর্বল হয়ে পড়েছে’ মন্তব্য করে বর্তমান কমিটির এক সহ-সভাপতি বিডিনিউজ টোয়্ন্টেফোর ডটকমে ‘ক্ষোভ’ প্রকাশ করেন।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে তিনি বলেন, “এ অবস্থায় ভালো নেতৃত্ব আসবে- এটাই আশা করি। আমরা চাই নতুন নেতৃত্ব। পুরোনোদের আবার রাখলে সংগঠনকে শক্তিশালী হবে না বরং আবার দুর্বল হয়ে পড়বে। নতুন নেতৃত্ব আগামী নির্বাচনে আওয়ামী লীগের সহায়কের ভূমিকায় কাজ করবে।”
যুব মহিলী লীগের সাধারণ সম্পাদক অপু উকিল বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “নেত্রী (শেখ হাসিনা) আমাকে সংগঠনের দায়িত্ব দিয়েছিলেন ২০০৪ সালে। আমি সংগঠনের জন্য কাজ করেছি।”
সারা দেশ থেকে প্রায় তিন হাজার নেতাকর্মী এবারের সম্মেলনে অংশ নেবেন বলে জানান অপু উকিল।
যুব মহিলা লীগ সভাপতি নাজমা আক্তার বলেন, সম্মেলনকে সফল করতে সংগঠনের কেন্দ্রীয় ও মহানগর নেতাদের নিয়ে ১০১ সদস্যের একটি কমিটি কাজ করেছে। এছাড়া ১১টি উপ-কমিটি সার্বিক বিষয় দেখভাল করছে।