বিএনপি ভোটে না এলেই বা কী: শেখ সেলিম

দশম সংসদ নির্বাচন বর্জনকারী বিএনপি আগামী ভোটে তাদের অংশ নেওয়ার পরিবেশ সৃষ্টি করতে সরকারকে আহ্বান জানিয়ে এলেও তাতে গা করার প্রয়োজন মনে করছেন না আওয়ামী লীগ নেতা শেখ ফজলুল করিম সেলিম।

সংসদ প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 26 Feb 2017, 12:59 PM
Updated : 26 Feb 2017, 12:59 PM

“বিএনপি নির্বাচনে না আসলে কারও কিছু আসে-যায় না,” বলেছেন ক্ষমতাসীন দলের সভাপত্ণ্ডিলীর এই সদস‌্য; তবে তিনি মনে করেন, দলীয় নিবন্ধন টিকিয়ে রাখতে ভোটে আসতে হবে বিএনপিকে।

বিএনপিকে বাদ দিয়ে নির্বাচনের চিন্তা করলে তা শুভ হবে না বলে দলটির হুঁশিয়ারির পাল্টায় রোববার জাতীয় সংসদে কথা বলেন শেখ সেলিম।

তিনি বলেন, “আসেন, না আসেন, আমাদের কী। যার ইচ্ছা সে নির্বাচন করবে। হুমকি-ধমকি দিয়েন না।”

বিএনপি নেতাদের পাল্টা হুঁশিয়ারি দিয়ে শেখ সেলিম বলেন, “যদি সন্ত্রাস করেন, জনগণের সম্পদ নষ্ট করেন, তাহলে গণপিটুনির জন্য প্রস্তুত থাকেন। এমন গণপিটুনি জনগণ দেবে, পাকিস্তানেও পালাতে পারবেন না।”

নির্দলীয় সরকারের দাবি থেকে দৃশ‌্যত পিছু হটে আসা বিএনপি এখন নির্বাচনকালীন ‘সহায়ক সরকারের’ দাবি জানাচ্ছে।

তাদের সেই দাবি নাকচ করে শেখ সেলিম বলেন, “বিএনপি বলছে, শেখ হাসিনার সরকারের অধীনে নির্বাচন করবে না। আপনারা এই সরকারের অধীনে নাকে খত দিয়ে নির্বাচন করবেন। টালবাহানা করে লাভ হবে না।”

এবার নির্বাচন বর্জন করলে ইসির নিবন্ধন হারানোর ঝুঁকির কথাও দলটির নেতাদের স্মরণ করিয়ে দেন আওয়ামী লীগ নেতা।

“এইবার না করলে নিবন্ধন বাতিল হবে। মুসলিম লীগের চেয়ে খারাপ অবস্থা হবে।”

গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ অনুযায়ী (৯০ এইচ অনুচ্ছেদের ই উপধারা) পরপর দুই বার সংসদ নির্বাচনে অংশ না নিলে নিবন্ধন বাতিলের বিধান রয়েছে।

নতুন ইসি নিয়ে বিএনপির সমালোচনার জবাবে শেখ সেলিম বলেন, “তারা তো (বিএনপি) আজিজ-সাদেক মার্কা নির্বাচন করেছিল। আজিজ ভুয়া ভোটার করেছিল। সাদেক ১৫ ফেব্রুয়ারি নির্বাচন করেছিল।

“আজকে ভুয়া ভোটার হওয়ার সুযোগ নেই। ছবিসহ ভোটার তালিকা হয়েছে। আমরা জিয়ার মতো হ্যাঁ-না ভোট বা ফালুর মতোর উপনির্বাচন করিনি। ওই সুযোগ আর আসবে না।”

সহায়ক সরকারের দাবির বিষয়ে তিনি বলেন, “এটা সংবিধানে নাই। সংবিধানে আছে জননেত্রী শেখ হাসিনার সরকারের অধীনেই নির্বাচন হবে।

“খালেদা তথাকথিত সুশীল সমাজকে মাঠে নামিয়েছে। এমন সব কথা বলছে, তাকে হেমায়েতপুর নয় রাঁচিতে পাঠাতে হবে। তিনি আবোল-তাবোল বলছেন।”

“বাংলাদেশের মজবুত অর্থনীতি খালেদা জিয়া সহ্য করতে পারছেন না। খালেদা জিয়া, ড. ইউনূস আর কিছু সেল্ফ মেইড বুদ্ধিজীবী বিশ্ব ব্যাংকের সাথে ষড়যন্ত্র করেছিলো। বিশ্ব ব্যাংককে ক্ষতিপূরণ দিতে হবে। শেখ হাসিনার কাছে ক্ষমতা চাইতে হবে। যারা দুর্নীতির কথা বলে চিৎকার করে টকশো ফাটিয়েছে তাদের বিচার করতে হবে।”

বিএনপির আলোচনার প্রস্তাব প্রত‌্যাখ‌্যান করে শেখ সেলিম বলেন, “যারা মানুষ হত্যা করে, রেলওয়েতে অগ্নিসংযোগ করেছে, গাছ কেটেছে, তাদের সাথে কীসের আলোচনা?

“বিএনপি সন্ত্রাসী দল। আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত। কানাডার ফেডারেল কোর্ট বলেছে, বিএনপি সন্ত্রাসী কাজে লিপ্ত ছিল, আছে, ভবিষ্যতেও থাকবে। বিশ্বব্যাপী তাদের প্রত্যাখ‌্যান করেছে। দেশবাসীকে বলব, আপনারাও প্রত্যাখ‌্যান করুন।”

মামলায় বিএনপি নেত্রীর আদালতে হাজিরা না দেওয়ার সমালোচনাও করেন আওয়ামী লীগ নেতা।