খালেদার কার্যালয়ে বার্নিকাট

খালেদা জিয়ার কার্যালয়ে গিয়ে তার সঙ্গে বাংলাদেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা করেছেন ঢাকায় যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত মার্শা বার্নিকাট।

জ‌্যেষ্ঠ প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 22 Feb 2017, 11:50 AM
Updated : 22 Feb 2017, 02:28 PM

যুক্তরাষ্ট্রে ক্ষমতায় পালাবদলের পর বুধবারের এই বৈঠকই ছিল বার্নিকাটের সঙ্গে বিএনপি চেয়ারপারসনের প্রথম আলোচনা।

বিকাল ৪টা ৫০ মিনিটে গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে ঢোকেন বার্নিকাট। দুই ঘণ্টা সেখানে ছিলেন তিনি।

বিএনপি নেতারা জানান, বৈঠকের শেষ দিকে কিছু সময় খালেদা জিয়ার সঙ্গে বার্নিকাটের একান্ত আলোচনা হয়।

বের হওয়ার পর বার্নিকাট সাংবাদিকদের বলেন, রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে ধারাবাহিক আলোচনার অংশ হিসেবেই তার এই বৈঠক।

“বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সঙ্গে দেখা করা এবং চলমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি অনুধাবন করা একজন রাষ্ট্রদূত হিসেবে আমার দায়িত্ব। এরই ধারাবাহিকতায় আমি বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সাথে সাক্ষাৎ করেছি।”

বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে জানালেও তা সুনির্দিষ্ট করেননি তিনি।

রাষ্ট্রদূত তার লিখিত বক্তব্যে বলেন, “সম্প্রতি আমি আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের সাথে দেখা করেছি। ভবিষ্যতে অন্যান্য রাজনৈতিক ব্যক্তিবর্গের সাথেও আমি আলোচনা অব্যাহত রাখব।”

লিখিত বক্তব্য পাঠের সময়ে রাষ্ট্রদূতকে হাসোজ্জ্বল দেখাচ্ছিল।

খালেদা জিয়ার সঙ্গে বৈঠকে মার্শা বার্নিকাট

বৈঠকের আলোচনার বিষয়ে বিএনপির পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে কিছু জানানো হয়নি। 

দলটির নেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, আগামী সংসদ নির্বাচন সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ করতে দলের চিন্তাভাবনা অর্থাৎ নির্বাচনকালীন নিরপেক্ষ সরকারের বিষয়টিও রাষ্ট্রদূতের কাছে বিষদ তুলে ধরা হয়েছে।

বিএনপির এক নেতা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “নির্বাচনে অংশ নিতে কী রকম পরিবেশ আমরা চাই, তা ব্যাখ্যা করেছে। নির্বাচনকালীন নিরপেক্ষ সরকার না হলে ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি নির্বাচনের পূনরাবৃত্তি হওয়ার শঙ্কাও আমরা প্রকাশ করেছি।”

বৈঠকে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা রিয়াজ রহমান উপস্থিত ছিলেন।

এর আগে ২০১৬ সালের ২৪ জানুয়ারি বার্নিকাট বিএনপি চেয়ারপারসনের সঙ্গে দেখা করেছিলেন।

এরপর যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ডেমোক্রেটদের পতন ঘটে। নতুন প্রেসিডেন্ট হন রিপাবলিকান প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প।