১৩ দফা মেনে সার্চ কমিটি হোক: নজরুল

নতুন নির্বাচন কমিশন গঠনে নিরপেক্ষ যোগ্য ‘সার্চ কমিটি’ তৈরির প্রক্রিয়া বানচাল হলে জনগণ তা মেনে নেবে না বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস‌্য নজরুল ইসলাম খান।

জ‌্যেষ্ঠ প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 23 Jan 2017, 10:32 AM
Updated : 23 Jan 2017, 10:32 AM

সোমবার দুপুরে এক আলোচনা সভায় তিনি বলেন, “নিরপেক্ষ, যোগ্য, সাহসী নির্বাচন কমিশন গঠনের জন্য যে ব্যক্তিগুলোকে খুঁজে বের করতে হবে, সেজন‌্য যোগ্য-নিরপেক্ষ সার্চ কমিটি দরকার। সেই প্রস্তাবই আমাদের নেত্রী দিয়েছেন ১৩ দফা প্রস্তাবের মাধ্যমে। এটাকে বানচাল করার চেষ্টা আমি বিশ্বাস করি জনগণ গ্রহণ করবে না।

“অতএব জনগণের স্বার্থে, সুষ্ঠু নির্বাচনের স্বার্থে, জবাবদিহিতামূলক দায়বদ্ধ একটা নির্বাচিত সরকার গঠনের স্বার্থে আমাদের নেত্রীর ১৩ দফা মানা হোক এবং একটা নিরপেক্ষ সার্চ কমিটি গঠন করা হোক মহামান্য রাষ্ট্রপতির কাছে এই আহ্বান জানাচ্ছি।”

কাজী রকিবউদ্দীন আহমদের নেতৃত্বাধীন বর্তমান নির্বাচন কমিশনের মেয়াদ শেষ হচ্ছে ফেব্রুয়ারির প্রথম সপ্তাহে। সংবিধান অনুযায়ী নতুন কমিশন গঠন করতে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ইতোমধ্যে ৩১টি দলের সঙ্গে আলোচনা শেষ করেছেন।

রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সংলাপে বেশিরভাগ দল সংবিধান অনুযায়ী আইন প্রণয়নের দাবি জানিয়েছে, তা না হওয়া পর্যন্ত সার্চ কমিটির পক্ষেই মত দিয়েছে অধিকাংশ দল।

বিএনপির সঙ্গে আলোচনার মধ্য দিয়েই গত ১৮ ডিসেম্বর বঙ্গভবনে এ সংলাপ শুরু হয়। সার্চ কমিটি গঠন ও ইসি নিয়োগের বিষয়ে ১৩ দফা প্রস্তাব দেয় দলটি।

জাতীয় প্রেস ক্লাবের সভা কক্ষে বাংলাদেশ ইয়ুথ ফোরামের উদ্যোগে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার ছোট ছেলে আরাফাত রহমান কোকোর দ্বিতীয় মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে এই আলোচনা সভা হয়। ২০১৫ সালের ২৪ জানুয়ারি কোকো মালয়েশিয়ার হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান।

দিবসটি উপলক্ষে বিএনপি মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১১টায় নয়া পল্টনে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে মিলাদ ও বিকালে বনানীতে কোকোর কবর জিয়ারত করবেন দলীয় নেতাকর্মীরা।

নজরুল ইসলাম খান বলেন, “আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেছেন, আমরা যে রাষ্ট্রপতির সাথে দেখা করলাম, সেখানে কার নাম দিয়েছি আমরা..আমাদের মহাসচিব সাহেব এর জবাব দিয়েছেন। আমাদের এক নেতা সঙ্গতভাবে বলেছেন, যে কী বদ উদ্দেশ্যে, যে কথা শুধুই রাষ্ট্রপতি জানার কথা, সেই কথা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলতে পারেন, প্রকাশ করতে পারেন। কথাটা মিথ্যা। অথবা কথাটা সত্যও হতো, তার জানার কথা না, তার বলার কথা না, তারপরও বলছেন।

“তাদের(আওয়ামী লীগ) মধ্যে এক ধরনের অস্থিরতা-ভীতি কাজ করছে। আজকের পত্রিকায় আছে, ক্ষমতা হারালে জানে বাঁচবেন না, (ওবায়দুল কাদের) বলেছেন তার দলের লোকজনের প্রতি..যার জন্য তারা এই ধরনের কথা বলছেন। এত ভয়ে আছেন যে, এ ধরনের অনুভূতি তারা পাবলিকলি ব্যক্ত করছেন। এ ধরনের কথা কখন বলেন তারা?”

তিনি বলেন, “জনগণের সমর্থনে ও আল্লাহর মেহেরবানীতে বিএনপি আবার যদি ক্ষমতায় আসে আমাদের নেত্রী বলেছেন, আমরা প্রতিহিংসা পরায়ন হব না। আওয়ামী লীগের মতো জিয়ার নাম থাকলেই সেটা ভেঙে ফেলতে হবে, মুছে ফেলতে হবে, সেটা বদলে দিতে হবে, জিয়া পরিবারের সবাইকে বিপদাপন্ন করতে হবে- এই ধরনের প্রতিহিংসা আমাদের মধ্যে থাকবে না।”

সংগঠনের সভাপতি মুহাম্মদ সাইদুর রহমানের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, নির্বাহী সদস্য আবু নাসের মুহাম্মদ রহমাতুল্লাহ, ফারজানা লিলি, আবুল কালাম আজাদ প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।