৩১ দলে শেষ হল রাষ্ট্রপতির ইসি সংলাপ

সংসদের বাইরে থাকা বিএনপিসহ ৩১টি দলের সঙ্গে আলোচনার মধ‌্য দিয়ে নির্বাচন কমিশন পুনর্গঠন নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদের সংলাপ শেষ হয়েছে।

জ‌্যেষ্ঠ প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 18 Jan 2017, 12:23 PM
Updated : 18 Jan 2017, 12:23 PM

রাষ্ট্রপতির প্রেস সচিব মো. জয়নাল আবেদীন বুধবার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “রাষ্ট্রপতির আলোচনা শেষ। বিভিন্ন রাজনৈতিক দল যেসব মতামত ও প্রস্তাব দিয়েছে সেগুলো পর্যালোচনা করে মহামান্য রাষ্ট্রপতি পরবর্তী পদক্ষেপ নেবেন।”

কাজী রকিবউদ্দীন আহমদের নেতৃত্বাধীন বর্তমান নির্বাচন কমিশনের মেয়াদ শেষ হচ্ছে ফেব্রুয়ারির প্রথম সপ্তাহে। বাংলাদেশের সংবিধান অনুযায়ী পাঁচ বছর মেয়াদী নতুন নির্বাচন কমিশন গঠনের এখতিয়ার রাষ্ট্রপতির।

সংবিধানের ১১৮ অনুচ্ছেদে বলা আছে, প্রধান নির্বাচন কমিশনার এবং অনধিক চারজন নির্বাচন কমিশনারকে নিয়ে এই নির্বাচন কমিশন হবে। এ বিষয়ে প্রণীত আইনের বিধান অনুযায়ী রাষ্ট্রপতি কমিশন নিয়োগ দেবেন।

কিন্তু সংবিধানের আলোকে ওই আইন সাড়ে চার দশকেও না হওয়ায় প্রতিবারই নির্বাচন কমিশন গঠনে জটিলতা দেখা দেয়। গতবার নির্বাচন কমিশন গঠনের জন‌্য রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা করে সার্চ কমিটি গঠনের উদ‌্যোগ নিয়েছিলেন রাষ্ট্রপতি মো. জিল্লুর রহমান।

সুপ্রিম কোর্টের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনকে প্রধান করে গঠিত ওই সার্চ কমিটি সিইসি পদের জন‌্য দুজন এবং নির্বাচন কমিশনার পদে আট জনের নাম প্রস্তাব করে।

তাদের মধ‌্য থেকে সাবেক সচিব কাজী রকিবউদ্দীন আহমদকে প্রধান নির্বাচন কমিশনার এবং আবদুল মোবারক, আবু হাফিজ, জাবেদ আলী ও মো. শাহনেওয়াজকে কমিশনার হিসেবে নিয়োগ দেন জিল্লুর রহমান।

ওই কমিশনের মেয়াদের শেষ পর্যায়ে এসে এবারও একইভাবে সংলাপের আয়োজন করেছেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ। বিএনপির সঙ্গে আলোচনার মধ‌্য দিয়ে গত ১৮ ডিসেম্বর এ আলোচনা শুরু হয়।

এরপর গত এক মাসে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ, বিরোধী দল জাতীয় পার্টিসহ মোট ৩১টি দলের শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে বসেছেন রাষ্ট্রপতি।

সংলাপে অংশ নেওয়া অন্য দলগুলো হল- লিবারেল ডেমোক্রেটি পার্টি (এলডিপি),  কৃষক-শ্রমিক জনতা লীগ, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জাসদ), বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টি, বাংলাদেশ ন্যশনালিস্ট ফ্রণ্ট (বিএনএফ), ইসলামী ঐক্যজোট, জাতীয় পার্টি (জেপি), বাংলাদেশ তরিকত ফেডারেশন, বাংলাদেশ জাতীয় পার্টি (বিজেপি), বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি), ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি (ন্যাপ), সাম‌্যবাদী দল, বিকল্প ধারা, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জেএসডি), জাসদ (আম্বিয়া), বাসদ, ইসলামী আন্দোলন, গণতন্ত্রী পার্টি, গণফোরাম, খেলাফত আন্দোলন, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস, বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি-বাংলাদেশ ন্যাপ, গণফ্রন্ট, খেলাফত মজলিস, জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশ, বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্ট, বাংলাদেশ মুসলিম লীগ (বিএমএল) ও জাকের পার্টি।

নির্বাচন কমিশন গঠনে এ সংসদেরই আইন প্রণয়ন, ইসি গঠনে সার্চ কমিটি এবং দলনিরপেক্ষ ব‌্যক্তিদের নিয়ে ইসি গঠনসহ বিভিন্ন পরামর্শ এসেছে দলগুলোর পক্ষ থেকে।