‘রকিব উদ্দীন মার্কা’ ইসি হলে মানব না: গয়েশ্বর

নতুন নির্বাচন কমিশন যদি বর্তমান কমিশনের মতো হয়, তাহলে বিএনপি মানবে না বলে জানিয়েছেন দলটির নেতা গয়েশ্বর চন্দ্র রায়।

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 26 Oct 2016, 08:41 AM
Updated : 26 Oct 2016, 08:41 AM

বুধবার এক আলোচনা সভায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির এই সদস্য বলেন, “জনগণের সেন্টিমেন্ট হচ্ছে- আমার ভোট আমি দেব, যাকে খুশি তাকে দেব এবং নিরাপদে দেব- ওই ধরনের একটি নির্বাচন কমিশন দরকার যারা এটা করতে পারবে।

“আমরা স্পষ্টভাষায় বলতে চাই, নির্বাচন কমিশন আর যা-ই হোক, বর্তমান রকিব উদ্দীন মার্কা নির্বাচন কমিশন দিয়ে সুষ্ঠু নির্বাচন হবে না; এটা কেউ মেনে নেবে না। নির্বাচন কমিশন কোনো দলকে খুশি বা অখুশি করার জন্য যদি হয়, সেই কমিশন দিয়ে দেশের কোনো মঙ্গল হবে না।”

প্রয়াত সাংবাদিক গিয়াস কামাল চৌধুরীর তৃতীয় মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে জাতীয় প্রেস ক্লাবের ভিআইপি লাউঞ্জে বাংলাদেশ ডেমোক্রেটিক কাউন্সিলের উদ্যোগে এই আলোচনা সভা হয়।

আগামী ফেব্রুয়ারিতে কাজী রকিবউদ্দীন আহমদ নেতৃত্বাধীন পাঁচ সদস্যের বর্তমান কমিশনের মেয়াদপূর্তির পর নতুন ইসির অধীনে ২০১৯ সালে একাদশ সংসদ নির্বাচন হবে।

নতুন কমিশন নিয়োগে আগের বারের মতো এবারও ‘সার্চ কমিটি’ করার ইঙ্গিত দিয়েছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক।

২০১২ সালে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা করে ‘সার্চ কমিটির’ মাধ্যমে নির্বাচন কমিশন গঠন করেছিলেন তৎকালীন রাষ্ট্রপতি জিল্লুর রহমান। ওই সময় সার্চ কমিটির আহ্বানে আওয়ামী লীগসহ কয়েকটি দল নতুন কমিশনের জন্য তাদের পছন্দের ব্যক্তির নামের তালিকা দিলেও বিএনপি দেয়নি।

জাতীয় নির্বাচনের প্রস্তুতি নিয়ে আওয়ামী লীগের কাউন্সিলে প্রধানমন্ত্রীর দেওয়া বক্তব্যে ইঙ্গিত গয়েশ্বর বলেন, “বিএনপির নয়, প্রস্তুতি দরকার হাসিনার জন্য। কারণ ভোট কিনা কাটতে হবে। ভোটাররা ভোট দেবে না- তারও একটা প্রস্তুতির দরকার আছে।

“আমি দৃঢ়তার সাথে বলতে চাই, আগামীকাল নির্বাচন হলে বিএনপি ৩০০ আসনে প্রার্থী মনোনয়ন দেওয়ার ক্ষমতা রাখে। দেশের এমন কোনো আসন নাই যে আসনে ৩/৪ জনের কম প্রার্থী আছে। বিএনপির ভোট করার প্রস্তুতির দরকার নাই, প্রার্থী নির্বাচনের জন্য প্রস্তুতির দরকার নাই, জনগণ ভোট দিতে পারবে- এমন নির্বাচনের জন্য বিএনপি সদা প্রস্তুত।”

প্রয়াত প্রয়াত সাংবাদিক গিয়াস কামাল চৌধুরীর বর্ণাঢ্য কর্মজীবনী তুলে ধরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য এমাজউদ্দিন আহমেদ বলেন, “বহুমুখী প্রতিভার এই সাংবাদিক সারাটা জীবন দেশের প্রগতির জন্য কাজ করে গেছেন।”

আলোচনা সভায় বিএনপির আবু নাসের মুহাম্মদ রহমত উল্লাহ, মিয়া মো. আনোয়ার প্রমুখ বক্তব্য দেন।

গিয়াস কামাল চৌধুরীর মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে বিএনপি সমর্থিত ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন ও ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের যৌথ উদ্যোগে সকালে জাতীয় প্রেস ক্লাবের ইউনিয়ন কার্যালয়ে স্মরণ সভা হয়।

এতে বক্তব্যে দেন সাংবাদিক রুহুল আমিন গাজী, এমএ আজিজ, এম আবদুল্লাহ, এম আবদুস শহীদ, বাকের হোসাইন, জাহাঙ্গীর আলম প্রধান।