দলের নতুন নেতৃত্বকে সংগঠন গোছানোর তাগাদা দিয়েছেন তিনি।
রোববার দলের কাউন্সিলে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হওয়ার পর নেতাকর্মীদের উদ্দেশে হাসিনা বলেন, “২০১৯ সালে জাতীয় নির্বাচন। আমি চাই না নির্বাচন প্রশ্নবিদ্ধ হোক। নির্বাচনে যেন জয়ী হতে পারি সেভাবে কার্যক্রম চালাতে হবে।”
নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবিতে ২০১০ সালের ৫ জানুয়ারির ভোট বর্জন করে রাজনীতিতে আওয়ামী লীগের প্রধান প্রতিপক্ষ বিএনপি ও তার মিত্ররা। ওই নির্বাচনে অর্ধেকের বেশি আসনে বিনা ভোটে সাংসদ নির্বাচিত হন, যাকে নির্বাচনের নামে ‘প্রহসন’ বলছে বিএনপি।
যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্যসহ বেশ কয়েকটি দেশও ভোট নিয়ে প্রশ্ন তোলে।
দুই দিনের কাউন্সিল শেষে অষ্টমবারের আওয়ামী লীগের সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন শেখ হাসিনা। সাংগঠনিক বিচারে তার পরের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ পদে আনা হয়েছে সাবেক ছাত্রনেতা ওবায়দুল কাদেরকে।
সিকি শতক পর বাংলাদেশকে সমৃদ্ধ দেশের কাতারে নিয়ে যাওয়ার স্বপ্ন নিয়ে এই সম্মেলন করে আওয়ামী লীগ। সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বক্তব্যে দারিদ্র্যমুক্ত বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্য অর্জনে নেতাকর্মীদের কাজ করার আহ্বান জানান শেখ হাসিনা।
“দেশে দারিদ্র্য থাকবে না,” এদিন কাউন্সিলরদের উদ্দেশে বলেন তিনি।
প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি সংগঠনের দায়িত্ব পালন করে এলেও তা কঠিন বলে কাউন্সিলরদের কাছে স্বীকার করেন শেখ হাসিনা।
এরপরেও সংগঠনকে আরও শক্তিশালী করতে সাধ্যমত চেষ্টা করার প্রত্যয় জানান তিনি।
নেতাকর্মীদের উদ্দেশে শেখ হাসিনা বলেন, “যে গুরু দায়িত্ব আপনারা আমাকে দিয়েছেন তা বহন করব। ৩৫ বছর একটা দলের সভাপতি, একটা সময় আমাকে বিদায় নিতে হবে।”