আগামী শনিবার অনুষ্ঠেয় প্রধান রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ আওয়ামীলীগের সম্মেলনে যোগ দেওয়ার আমন্ত্রণ পাওয়ার পর তিনি সাংবাদিকদের জিজ্ঞাসায় একথা জানান।
বৃহস্পতিবার সকালে আওয়ামী লীগের উপদপ্তর সম্পাদক মৃণাল কান্তি দাসের নেতৃত্বে আওয়ামী লীগের একটি প্রতিনিধিদল নয়া পল্টনেবিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে গিয়ে সম্মেলনে খালেদা জিয়া ও ফখরুলের আমন্ত্রণপত্র পৌঁছে দেন। তারা ফখরুলের সঙ্গে দেখা করেন।
এরপর দুপুরে এক সংবাদ সম্মেলনে বিএনপি মহাসচিবকে পেয়ে সাংবাদিকরা সিদ্ধান্ত জানতে চাইলে বিএনপি মহাসচিব বলেন, “আমরা আওয়ামী লীগকেধন্যবাদ জানাচ্ছি। দাওয়াত পেয়েছি, যাওয়ার বিষয়ে আমরা সিদ্ধান্ত নেব।”
গত ১৯ মার্চ বিএনপির জাতীয় কাউন্সিলে আমন্ত্রণ জানানোর পরও আওয়ামী লীগের কেউ যোগ না দেওয়ায় দুঃখ প্রকাশ করেন ফখরুল।
সেইসঙ্গে তিনি বলেন, “সরকার ওইকাউন্সিল অনুষ্ঠানে অনেক প্রতিবন্ধকতাও সৃষ্টি করেছিল। আমরা তখনও আশা করেছিলাম, অন্যান্য রাজনৈতিক দল যেভাবে এসেছিলেন, তারাও আসবেন।”
একে অন্যের আমন্ত্রণ রক্ষা করার মধ্য দিয়ে ‘ইতিবাচক রাজনীতি’ধারা শক্তিশালী হবে বলে মন্তব্য করেন বিএনপি মহাসচিব।
আওয়ামী লীগের সম্মেলন নিয়ে রাজনৈতিক প্রতিক্রিয়ায় তিনি বলেন, “আমরা আশা করি, এই সম্মেলন থেকে বাংলাদেশে যে গণতন্ত্র হারিয়ে গেছে, সেইগণতন্ত্রকে ফিরিয়ে আনবার জন্য তারা উদ্যোগ গ্রহণ করবেন।”
বর্তমান নির্বাচনী ব্যবস্থার পরিবর্তন হবে না- আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফুল ইসলামের এই বক্তব্যে বিষয়ে ফখরুল বলেন, “দুঃখজনকভাবে আওয়ামী লীগ সঙ্কটের মূলজায়গাটা তারা ধরতে পারছে না।
“বাংলাদেশ পুরো রাজনৈতিক সঙ্কটের মূল বিষয়টাহচ্ছে যে, নির্বাচন ব্যবস্থা তারা নিয়ে এসেছেন, যেভাবে তারা শুরু করেছেন, সেইনির্বাচনী ব্যবস্থায় কোনোদিনই জনগণের সঠিক প্রতিনিধিরা প্রতিনিধিত্ব করতে সক্ষমহবে না এবং সেটা কখনোই জনগণের আশা পূরণ করবে না।”