তিনি বলেছেন, “আমাদের বিদ্যুতের প্রয়োজন। কিন্তু যে বিদ্যুৎকেন্দ্রের জন্য আমাদের সুন্দরবন, জীববৈচিত্র্য, পানি ও মাটি ধ্বংস হয়ে যায়, সে বিদ্যুৎ কেন্দ্র আমরা চাই না।”
শনিবার খুলনার একটি হোটেলে ‘দক্ষিণাঞ্চলের উন্নয়ন ভাবনা ও সুন্দরবন’ শীর্ষক সেমিনারে এ কথা বলেন ফখরুল।
তিনি বলেন, “জাতিসংঘও চাচ্ছে না সুন্দরবনের কাছে বিদ্যুৎকেন্দ্র হোক। সম্প্রতি ইউনেস্কোর রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে, রামপালে বিদ্যুৎকেন্দ্র হলে সুন্দরবন ধ্বংস হয়ে যাবে। বাংলাদেশের বিশেষজ্ঞরাও এ প্রকল্প বন্ধের জন্য দাবি জানিয়েছে। তারপরও এ বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ করা হচ্ছে।”
ভারতের সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে এ বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণের প্রসঙ্গ টেনে ফখরুল করেন, “রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্রের নামে সুন্দরবন ধ্বংস করা হচ্ছে- তাহলে আমাদের স্বার্থটা কী? তা হচ্ছে ক্ষমতায় টিকে থাকার স্বার্থ। রামপালের কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র করা হচ্ছে বিদেশিদের তুষ্ট করার জন্য।”
বিশ্ব ঐতিহ্য সুন্দরবনের ‘ধ্বংস ঠেকাতে’ বাগেরহাটে ওই বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণের চেষ্টা রুখে দেওয়ার আহ্বান জানান বিএনপি মহাসচিব।
তিনি বলেন, রামপাল কোনো ‘রাজনৈতিক ইস্যু নয়’, এটা ‘সুন্দরবন রক্ষার, দেশ রক্ষার’ ইস্যু।
“এ সরকার উন্নয়নে বিশ্বাস করে না। ব্যাংকিং সেক্টর, শেয়ার বাজারসহ সকল গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠান তারা ধ্বংস করে দিয়েছে। দেশের অর্থনীতি আজ ধ্বংসের পথে। উন্নয়নের নামে জনগণের সঙ্গে প্রতারণা করা হচ্ছে।”
তিনি ‘দেশ, সুন্দরবন, গণতন্ত্র ও পরবর্তী প্রজন্মকে’ রক্ষার জন্য দেশবাসীকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানান।
খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিএনপি সমর্থক শিক্ষকদের সংগঠন ন্যাশনালিস্ট টিচার্স অ্যাসোসিয়েশন (এনটিএ) এ সেমিনারের আয়োজন করে। মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন সংগঠনের সাবেক সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক শেখ মাহমুদুল হাসান।
অন্যদের মধ্যে বিএনপির কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি নিতাই রায় চৌধুরী, আইইবির সাবেক সভাপতি প্রকৌশলী আ ন হ আখতার হোসেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থ বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক এ বি এম ওবায়দুল ইসলাম, ইঞ্জিনিয়ার খালেদ হোসেন চৌধুরী, ব্যারিস্টার শেখ মো. জাকির হোসেন, রাজশাহীর বিএনপি নেতা মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুল, খুলনা মহানগর বিএনপি সভাপতি নজরুল ইসলাম মঞ্জু ও সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান মনি সেমিনারে বক্তব্য দেন।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় এনটিএ সভাপতি অধ্যাপক মো. রেজাউল করিম; অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক মো. খসরুল আলম।