প্রধানমন্ত্রীর জন‌্য ‘গণঅভ্যর্থনার’ প্রস্তুতি আ. লীগের

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাতিসংঘ সাধারণ অধিবেশন থেকে ফেরার পর তাকে ‘গণঅভ্যর্থনা’ জানানোর প্রস্তুতি শেষ করেছে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 29 Sept 2016, 12:04 PM
Updated : 29 Sept 2016, 12:04 PM

দলের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম আওয়ামী লীগসহ ১৪ দল, ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ আওয়ামী লীগের প্রতিটি থানা, ওয়ার্ড ও ইউনিয়ন, সহযোগী, ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠনের নেতাকর্মী এবং সর্বস্তরের জনগণকে এই আয়োজনে অংশ নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন। 

শুক্রবার বিকাল ৫টা ২০ মিনিটে এমিরেটসের একটি ফ্লাইটে ঢাকার শাহজালাল বিমানবন্দরে নামবেন প্রধানমন্ত্রী। বিমানবন্দর থেকে খিলক্ষেত, কুড়িল ফ্লাইওভার, হোটেল রেডিসন, কাকলী মোড়, বনানী, জাহাঙ্গীর গেইট, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়, বিজয় সরণী, সামরিক জাদুঘর, জাতীয় সংসদ ভবন মোড় ও গণভবন পর্যন্ত রাস্তার দাঁড়িয়ে তাকে অভ্যর্থনা জানাবে আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা।

এ আয়োজনের কথা জানিয়ে সৈয়দ আশরাফ গত সপ্তাহে এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, “জাতিসংঘে গুরুত্বপূর্ণ ভাষণ ও বঙ্গবন্ধুর খুনীকে ফিরিয়ে আনতে কানাডা সরকারের প্রধানের সঙ্গে সফল আলোচনাসহ এই সফরে অনেক সাফল‌্য রয়েছে। এ কারণে বিমানবন্দর থেকে গণভবন পর্যন্ত প্রধানমন্ত্রীকে গণঅভ্যর্থনা দেওয়া হবে।”

কানাডায় গ্লোবাল ফান্ড এবং যুক্তরাষ্ট্রে জাতিসংঘের ৭১তম সাধারণ অধিবেশনে যোগ দিতে গত ১৪ সেপ্টেম্বর ঢাকা ছাড়েন প্রধানমন্ত্রী। সফর শেষে তার ২৬ সেপ্টেম্বর ফেরার কথা থাকলেও পরে তা পিছিয়ে যায়। বুধবার প্রধানমন্ত্রী তার ৭০তম জন্মদিন ভার্জিনিয়ায় ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়ের বাড়িতে কাটান। 

‘গণঅভ্যর্থনা’ কর্মসূচিতে আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনগুলোর নেতাকর্মীরা কে কোথায় অবস্থান নেবেন তা বৃহস্পতিবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছেন দলের উপ-দপ্তর সম্পাদক মৃণাল কান্তি দাস।

সেখানে বলা হয়েছে, কর্মসূচি সফল করতে বিমানবন্দর থেকে গণভবন পর্যন্ত রাস্তার পাশে আওয়ামী লীগের নেতারা দাঁড়াবেন।

পাশাপাশি প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সামনে কেন্দ্রীয় ১৪ দল, ঢাকা মহানগর ১৪ দল, স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদ, চিকিৎসক ও আইনজীবী পরিষদের নেতারা থাকবেন।

সড়ক পরিবহন অফিস থেকে পুরনো র‌্যাংগস ভবন পর্যন্ত এলাকায় থাকবের ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতি, সড়ক পরিবহন শ্রমিক ইউনিয়নের নেতা-কর্মীরা।

এরপর র‌্যাংগস ভবন থেকে নভো থিয়েটার এলাকায় জাতীয় পার্টির কাজী ফিরোজ রশিদ এবং সূত্রাপুর, কোতোয়ালী, বংশাল, গেণ্ডারিয়া, ওয়ারী থানা আওয়ামী লীগ, সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ড ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ, অঙ্গ, সহযোগী ও ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠনের নেতাকর্মীরা থাকবেন।

নভো থিয়েটার থেকে সামরিক জাদুঘর এলাকায় থাকবে ডেমরা, যাত্রাবাড়ী, শ্যামপুর, কদমতলী থানা আওয়ামী লীগ।

সামরিক জাদুঘর থেকে সংসদ ভবন মোড়ে ওয়ার্কার্স পার্টির রাশেদ খান মেনন, আওয়ামী লীগের সাবের হোসেন চৌধুরীসহ রমনা, শাহবাগ, মতিঝিল, শাজাহানপুর, পল্টন, খিলগাঁও, সবুজবাগ, মুগদা থানা আওয়ামী লীগ, সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ড ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ, অঙ্গ, সহযোগী ও ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠনের নেতারা থাকবেন।

সংসদ ভবন মোড় থেকে গণভবনের দিকে থাকবেন খাদ্যমন্ত্রী কামরুল ইসলাম, হাজী সেলিমসহ লালবাগ, চকবাজার, কামরাঙ্গীরচর থানা আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনগুলোর নেতারা।

গণভবনের সামনে শেখ ফজলে নূর তাপসসহ ধানমন্ডি, নিউ মার্কেট, কলাবাগান ও হাজারীবাগ থানা আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতারা অবস্থান করবেন।