গত কয়েকদিন ধরে দলের মুখপাত্রের দায়িত্ব পালন করে আসা শামসুজ্জামান দুদু শনিবার এক মানববন্ধন কর্মসূচিতে বলেন, “সার্চ কমিটির নামে যে তামাশা হচ্ছে, সেই তামাশা বন্ধ করতে হবে। সার্চ কমিটি দিয়ে কী হবে, তা আমাদের ভালোই জানা আছে।
“আমরা বলতে চাই, দেশনেত্রী খালেদা জিয়া, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও প্রধান বিরোধী দলগুলোর সঙ্গে আলোচনার মধ্য দিয়ে আমাদের কোনো একটা সিদ্ধান্তে আসতে হবে।”
কাজী রকিবউদ্দীন আহমদ নেতৃত্বাধীন বর্তমান নির্বাচন কমিশনের মেয়াদ শেষ হচ্ছে আগামী ফেব্রুয়ারিতে।
পাঁচ সদস্যের নতুন কমিশন নিয়োগে আগের বারের এবারও ‘সার্চ কমিটি’করা হচ্ছে বলে ইতোমধ্যে আভাস দিয়েছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক।
গতবার রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা করে ‘সার্চ কমিটি’র মাধ্যমে নতুন নির্বাচন কমিশন গঠন করেছিলেন তৎকালীন রাষ্ট্রপতি মো. জিল্লুর রহমান।
বর্তমান ইসির কার্যক্রমে অসন্তুষ্ট বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সম্প্রতি বলেছিলেন, “সার্চ কমিটি করেন, আর যাই করেন, জনমতের বাইরে গিয়ে কোনো কমিটি এদেশের মানুষ মেনে নেবে না।”
বর্তমান নির্বাচন কমিশনস সরকারের ‘আজ্ঞাবহ’ হয়ে কাজ করছে বলে বিএনপির অভিযোগ। গত সাধারণ নির্বাচন বর্জনকারী বিএনপির সন্দেহ, একই ধরনের আরেকটি ইসি গঠন করতে যাচ্ছে আওয়ামী লীগ সরকার।
জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে মানববন্ধনে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু বলেন, “গণতন্ত্র ছাড়া আমাদের কোনো পথ নাই, নির্বাচন ছাড়া কোনো পথ নাই, পারস্পরিক শ্রদ্ধা ও ভক্তি ছাড়া আমাদের কোনো পথ নাই।
“খালেদা জিয়া ও শেখ হাসিনার মিলিত প্রচেষ্টা, সংলাপ-আলোচনা যা-ই বলি না কেন, তাদেরকে সংকট নিরসনে সংলাপে বসবে হবে। এই সংলাপের মধ্য দিয়ে আমরা জাতীয় সংকট কাটিয়ে উঠতে পারব।”
জিয়াউর রহমানের মরণোত্তর স্বাধীনতা পদক প্রত্যাহারের প্রতিবাদে স্বাধীনতা ফোরামের উদ্যোগে আয়োজিত কর্মসূচিতে বক্তব্য রাখেন বিএনপি নেতা দুদু।
সংগঠনের সভাপতি আবু নাসের মুহাম্মদ রহমাতুল্লাহর সভাপতিত্বে এতে বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা হাবিবুর রহমান হাবিব, যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবীর খোকন, প্রশিক্ষণ বিষয়ক সম্পাদক এ বি এম মোশাররফ হোসেনও বক্তব্য রাখেন।