শনিবার দুপুরে এক সংবাদ সম্মেলনে দলের জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেন, “ আজকে দেশব্যাপী বিক্ষোভ সমাবেশ-প্রতিবাদ মিছিলের কর্মসূচি বানচাল করার জন্য সরকারের পেটুয়াবাহিনীতে পরিণত আইন প্রয়োগকারী সংস্থার সদস্যরা গতরাত (শুক্রবার) থেকে দেশের বিভিন্ন এলাকায় বিএনপি নেতাকর্মীদের বাড়িতে জঙ্গিদের মতো হামলা চালাচ্ছে।
“হামলা চালিয়ে বাড়ি-ঘর লুটতরাজ, ভাংচুর, ধরপাকড়ের মতো এক বিভিষিকাময় পরিস্থিতির সৃষ্টি করেছে।”
ঘুষ হিসেবে আদায়ের পর ২০ কোটি টাকা বিদেশে পাচারের অভিযোগে করা মামলায় জজ আদালত ২০১৩ সালে বিএনপির তারেককে খালাস এবং তার বন্ধু গিয়াসউদ্দিন আলমামুনকে সাত বছরের কারাদণ্ড দিয়েছিল।
ওই রায়ের বিরুদ্ধে আপিলের রায়ে হাই কোর্ট বৃহস্পতিবার মামুনের সাজা বহাল রেখে তারেকের খালাসের রায় বাতিল করে তাকে সাত বছরের কারাদণ্ড দেওয়ার পাশাপাশি ২০ কোটি টাকা জরিমানা করা করে উচ্চ আদালত।
তারেকের সাজার প্রতিবাদে শনিবার বিএনপি সারাদেশে মহানগর ও জেলা সদরে বিক্ষোভ সমাবেশ, প্রতিবাদ মিছিলের কর্মসূচি ঘোষণা করে।
তিনি বলেন, “পিরোজপুর জেলা বিএনপির দপ্তর সম্পাদক তৌহিদুল ইসলাম, ছাত্রদল নেতা তানজিদ হাসান শাওনসহ আটজনের অধিক নেতাকর্মীকে পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে। মঠবাড়িয়া উপজেলার ছাত্রনেতা আরিফ ও ফয়সলকে যুব লীগ-ছাত্রলীগের কর্মীরা কুপিয়ে জখম করে। রাজশাহীতে বিশাল মিছিল বের হলে ঘেরাও করে রাখে পুলিশ-বিজিবি।”
সরকার প্রতিহিংসা চরিতার্থ করতে তারেক রহমানকে সাজা দেওয়ার ব্যবস্থা করেছে অভিযোগ তুলে রিজভী বলেন, এই সাজা সরকারের অন্ধ প্রতিহিংসার বহিঃপ্রকাশ। দেশ থেকে গণতন্ত্রকে পরকালে পাঠিয়ে একদলীয় শাসন বজায় রাখতে গিয়ে রাষ্ট্রের সকল প্রতিষ্ঠানে সরকার নিজেদের লোকজন বসিয়ে গায়ের জোরে দেশের জনগণকে জিম্মি করে রেখেছে।”
“রাষ্ট্রযন্ত্রের দলীয় প্রশাসনকে কাজে লাগিয়ে সরকার বিরোধী দলকে দমাচ্ছে। এখানে আইনের কোনো আশ্রয় নেওয়া বা ন্যায়বিচারের কোনো ধার তারা (প্রশাসন) ধারছেন না। শুধু প্রধানমন্ত্রী কিসে খুশি হবেন, এটা হচ্ছে তাদের লক্ষ্য,” বলেন বিএনপির এই জ্যেষ্ঠ নেতা।
সংবাদ সম্মেলন দলের যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবীর খোকন, জ্যেষ্ঠ নেতা সানাউল্লাহ মিয়া, মাসুদ আহমেদ তালুকদার, আবদুস সালাম আজাদ, আসাদুল করীম শাহিন, আবদুল আউয়াল খান, মনির হোসেন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।