শনিবার এক বিবৃতিতে ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন ও সাধারণ সম্পাদক ফজলে হোসেন বাদশা বলেন, যুদ্ধাপরাধীদের রক্ষায় গুপ্তহত্যা, টার্গেট কিলিং-এর ধারাবাহিকতায় দেশি-বিদেশি ষড়যন্ত্রের আরেকটি বহিঃপ্রকাশ ঘটল গুলশান ২-এর একটি রেস্তোরাঁয় সন্ত্রাসী ও জঙ্গি আক্রমণ এবং জিম্মি করার ঘটনায়।
বিবৃতিতে বলা হয়, “সন্ত্রাসী জঙ্গি গোষ্ঠী এই আক্রমণের মধ্য দিয়ে তাদের রাজনৈতিক উদ্দেশ্য ও লক্ষ্য প্রমাণ করেছে যে তারা মৌলবাদী সাম্প্রদায়িক সশস্ত্র রাজনীতির মধ্য দিয়ে সরকার ও অসাম্প্রদায়িক গণতান্ত্রিক পরিবেশকে অস্থিতিশীল করতে চায়।”
বিবৃতিতে রোববার বেলা ১১টায় জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে জঙ্গি হামলার প্রতিবাদে বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির বিক্ষোভ হবে বলে জানানো হয়।
গুলশানের লেকের ধারে এই ক্যাফেটির খোলামেলা পরিবেশ বিদেশিদের কাছে বেশ প্রিয় ছিল। শুক্রবার জঙ্গিরা হানা দেওয়ার সময় ওই রেস্তোরাঁটিতে অনেক বিদেশি ছিলেন। এর মধ্যে দুই শ্রীলঙ্কান ও এক জাপানি বেঁচে যান।
বন্দুকধারীদের হামলায় দুই পুলিশ কর্মকর্তা নিহত হন। এছাড়া তারা ২০ জনকে গলা কেটে হত্যা করে, যাদের বেশিরভাগ বিদেশি।
শনিবার সকালে কমান্ডো অভিযানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা হয়। ১৩ মিনিটের ওই অভিযানে তিন বিদেশিসহ ১৩ জন জিম্মিকে উদ্ধার এবং হামলাকারী ছয়জনকে হত্যা ও একজনকে আহত অবস্থায় গ্রেপ্তার করা হয়।
আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, রাতেই ঘটনার দায় স্বীকার করে মধ্যপ্রাচ্যভিত্তিক জঙ্গি গোষ্ঠী আইএস।
হামলার ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও ক্ষোভ জানিয়ে সিপিবির কেন্দ্রীয় কমিটির উপদেষ্টা মনজুরুল আহসান খান ও সভাপতি মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম বলেন, এই হামলা ও গুপ্তহত্যা আসলে দেশি-বিদেশি চক্রান্তেরই অংশ।
সিপিবি নেতারা অবিলম্বে প্রকৃত অপরাধীদের খুঁজে বের করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করেন।