ক্ষমতাকে পোক্ত করতে নানা কৌশল: ফখরুল

বিভিন্ন কৌশলে রাষ্ট্রযন্ত্র ব্যবহার করে সরকার ক্ষমতাকে পাকাপোক্ত করতে চাইছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 24 June 2016, 02:10 PM
Updated : 24 June 2016, 02:10 PM

শুক্রবার বিকালে এক আলোচনা সভায় তিনি একথা বলেন।

ফখরুল বলেন, “জনগণ থেকে সরকার বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। তারা খুব ভালো করে জানে যেকোনো নির্বাচন যদি অবাধ ও সুষ্ঠু হয় তারা আর কোনোদিনই ক্ষমতায় আসতে পারবেন না বা রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্ব পাবেন না। সেজন্য আজকে বিভিন্ন কৌশলে বিভিন্নভাবে শক্তি দিয়ে রাষ্ট্রযন্ত্র ব্যবহার করে তারা ক্ষমতাকে পাকাপোক্ত করতে চাইছে।

“আজকে যে অবস্থা বাংলাদেশে সৃষ্টি হয়েছে, শুধু অর্থনৈতিক নৈরাজ্য নয়, একই সঙ্গে সামাজিক নৈরাজ্য ও রাজনৈতিক নৈরাজ্য যা বাংলাদেশকে অতি দ্রুত রসাতলে নিয়ে যাচ্ছে।”

রাজধানীর ব্রাক ইন মিলনায়তনে এমবিএ অ্যাসোসিয়েশনের উদ্যোগে ‘বাজেট ২০১৬-১৭ পর্যালোচনা’ শীর্ষক এই আলোচনা সভা হয়। অ্যাসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে সংসদে উপস্থাপিত বাজেটের উপর পর্যালোচনামূলক একটি চিত্রসহ সুপারিশমালা তুলে ধরা হয়।

গত ২ জুন সংসদে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত ২০১৬-১৭ অর্থবছরের জন্য প্রায় ৩ লাখ ৪০ হাজার ৬০৫ কোটি টাকার বাজেট প্রস্তাব পেশ করেন।

আগামী ৩০ জুন জাতীয় সংসদে এই বাজেট পাস হওয়ার কথা রয়েছে।

প্রস্তাবিত বাজেটের সমালোচনা করে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, “এই বাজেট কারা দিচ্ছে, যাদের জনগণের কোনো ম্যান্ডেট নাই। বিগত নির্বাচনে একটা প্রহসনের নাটক করে তারা জোর করে ক্ষমতায় দখল করে বসে আছে।”

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর (ফাইল ছবি)

“আমাদের অর্থনীতিবিদরা বলেছেন, এই বাজেটের সঙ্গে জনগণের কোনো সম্পর্ক নাই। অর্থাৎ জনগণের কল্যাণের কোনো কথা নাই। যা কিছু আছে, তাদের এই অনৈতিক অবৈধ শাসনকে আরো পাকাপোক্ত করবার জন্য যতকিছু লুন্ঠন করা দরকার, সেই লুন্ঠনের ব্যবস্থা পাকাপোক্ত করা হয়েছে।”

বাজেটে প্রস্তাবিত কর আরোপের প্রসঙ্গ টেনে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, “এই বাজেটে কর আরোপ করা হয়েছে সাধারণ জনগণের উপরে। এই বর্ধিত বাজেটের অর্থ যোগান দেওয়ার জন্য যে কর আদায় করা হবে সেখানে বলা হচ্ছে প্রতি ব্যক্তির মাথাপিছু কর দিতে হবে ১৫ হাজার ১৭২ টাকা।

“বিগত অর্থবছরে তাদেরকে কর দিতে হয়েছে ১১ হাজার ২৭ টাকা। এখন করের বোঝাটাই বেড়েছে মাথাপিছু ৪ হাজার ৮৭ টাকা। এই করের বোঝা সাধারণ মানুষকে বহন করতে হচ্ছে।”

বাজেটের আগে আলোচনা করলেও ব্যবসায়ীসহ উৎপাদনকারীদের কোনো পরামর্শ অর্থমন্ত্রী না রাখায় এর সমালোচনা করেন তিনি।

এমবিএ অ্যাসিয়েশনের সভাপতি সৈয়দ আলমগীরের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় অন্যদের মধ্যে বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গর্ভনর ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক খন্দকার মুস্তাহিদুর রহমান, বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক আবু আহমেদ, অগ্রণী ব্যাংকের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক সৈয়দ নাসের বখতিয়ার আহমেদ, বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, এমবিএ অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক শাকিল ওয়াহেদ বক্তব্য রাখেন।